নাগরপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ভুল চিকিৎসায় এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (০৫ এপ্রিল) রাতে নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়নের স্বাক্ষীপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
পাকুটিয়া ইউনিয়নের হাড়িপাড়া গ্রামের মো. মানিক মিয়ার মেয়ে নুরজাহান (২০) এ ঘটনার শিকার হন।
ফার্মেসী মালিক মুক্তার হোসেন (৩০) সে রাথুরা গ্রামের আ. আজিজ এর ছেলে।
ঘটনার বিবরণ –
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত নয়টার দিকে স্বামীর সাথে অভিমান করে নুরজাহান বিষপান করে । স্বামীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে।
স্বামী মো. সেলিমা মিয়া না বুঝে রাথুরা বাজারে নিয়ে আসলে মুক্তা ফার্মেসীর মালিক মো. মুক্তার হোসেন কয়েক গ্লাস পানি খাওয়ায়ে ওয়াস করে তাকে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেন।
মুক্তার হোসেন স্যালাইন নিয়ে অসুস্থ্য নুরজাহানের স্বামী বাড়ী যায়। মুক্তার তার প্রেসার না মেপে তাকে সেলাইন পুশ করে।
স্যালাইন দেবার সাথে সাথে নুরজাহানের নাক মুখ দিয়ে রক্ত বেড়িয়ে আসে।
এ সময় মুক্তার ভয় পেয়ে দ্রুত সরকারি হাসপাতালে নিতে বলে। বাড়ী থেকে সাটুরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে মারা যায় নুরজাহান।
মঙ্গলবার সকালে সংবাদ পেয়ে সেলিমের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন পুলিশ ।
মুক্তা ফার্মেসীর মালিক মুক্তার হোসেন বলেন, আমার ভুল হয়েছে তাকে চিকিৎসা দেয়া; স্যালাইন পুশ করার আগেই নুরজাহানের নাক মুখ দিয়ে রক্ত চলে আসে।
নুরজাহানকে রাত ১০টার দিকে সাটুটিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের কথা –
সেলিমের মা বলেন, মুক্তার চিকিৎসা না দিয়ে সে আমার বউমাকে হাসাপাতালে পাঠাতো তা হলে আমার ছেলের বউ বেচে যেত।
সে আরো বলেন, আমরা হাসাপাতালে নিতে চাইলে মুক্তার বলে আমার চিকিৎসায় ভাল হবে । হাসপাতালে নিতে হবে না।
নিহত নুরজাহানের বাবা মানিক মিয়া বলেন, ৮/৯ মাস আগে আমার মেয়েকে স্বাক্ষীপাড়ায় সেলিমের সাথে বিয়ে হয়।
সেলিমের আগের বউ চলে গেছে জেনেও তার সাথে মেয়েকে বিয়ে দেই। সেলিমের চাচাতো বোন লাভলী রাত তিনটার দিকে আমাকে ফোন দিয়ে বলে আপনার মেয়ে অসুস্থ্য আপনারা চলে আসেন।
আমিসহ আমার লোকজন নিয়ে সেলিমের বাড়ীতে ভোরে সেলিমের বাড়ি এসে দেখি আমার মেয়ে ঘরে ভিতর পরে আছে। তখন কেউ আর আমার সাথে কথা বলে না সেলিম কেউ দেখতে পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনিসুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ পেয়েছি লাশ উদ্বার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
তদন্ত রির্পোট দেখে আমরা আইনুগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো। সম্পাদনা – অলক কুমার