টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের কাওনহোলা এলাকায় একটি স্থায়ী সেতু না থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন ২৪ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। সরকারিভাবে সেতু না থাকায় এলাকাবাসী নিজেদের অর্থায়ন ও স্বেচ্ছাশ্রমে ২৬০ ফুট দীর্ঘ বাঁশ ও কাঠের অস্থায়ী সাঁকো তৈরি করে যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছেন।
সেতুটি মেঘনা বনগ্রাম বাজার থেকে কাওনহোলা হয়ে ধুবড়িয়া ইউনিয়নের সেহরাইল সড়কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে। প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, মুসল্লি, রোগী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এই নড়বড়ে সাঁকো ব্যবহার করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।
স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুমে সাঁকোতে চলাচল আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। তখন সাঁকোর উপর দিয়ে মালামাল আনা-নেওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দেয়। কাওনহোলা জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুল কাদের জানান, “এই সাঁকো দিয়েই সবাই চলাফেরা করছে। এমনকি জানাজা ও দাফনেও কষ্ট হয়। জরুরি ভিত্তিতে এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানাই।”
ভাদ্রা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য লুৎফর রহমান বাবুল বলেন, “এলাকাবাসীর চেষ্টায় তৈরি বাঁশ-কাঠের সাঁকোই এখন ২৪ গ্রামের মানুষের ভরসা। পাকা সেতু আর ভালো রাস্তার অভাবে মানুষ বছরের পর বছর দুর্ভোগে আছে।”
এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী তোরাপ আলী জানান, “ধুবড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বনগ্রাম বাজার হয়ে সেহরাইল পর্যন্ত প্রায় ২,৩০০ মিটার রাস্তা ও কাওনহোলা খালের উপর ৪০ মিটার দীর্ঘ গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের প্রাক্কলন তৈরি করে এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে দ্রুত কাজ শুরু হবে।”
এলাকাবাসী দ্রুত পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন, যাতে তাদের যাতায়াত ও জীবনমানের উন্নয়ন ঘটে।