টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ৪র্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। নির্জন বাড়িতে একা পেয়ে পার্শ্ববর্তী একাধিক বিবাহিত যুবক (৪২) তাকে জোড়পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় শিশুটির মা থানায় অভিযোগ করলেও ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা করছে ভূক্তভোগী ছাত্রীর অসহায় পরিবারটি। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চরাঞ্চল দপ্তিয়র ইউনিয়নের খাষ ভূগোলহাট গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খাষ ভূগোলহাট গ্রামের মৃত শুকুর আলী শেখের মেয়ে ৪৬ নং খাষ ভূগোলহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে তার মা বাড়িতে একা রেখে বাড়ির পাশে জমিতে ধান শুকাতে যায়। এই সুযোগে পার্শ্ববর্তী কাজী খলিলুর রহমানের লম্পট ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন ঘরে ঢুকে ওই ছাত্রীকে ঝাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় শিশুটি সম্ভ্রম রক্ষায় লম্পট মামুনকে ধাক্কা দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলে সে দ্বিতীয় দফায় শিশুটির স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে ফের ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে শিশু ছাত্রীটি ডাকচিৎকার দিলে লম্পট মামুন তাকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানান ভিকটিমের মা সখিনা বেগম।
স্থানীয় দুলাল, সাদ্দাম, আতোয়ার ও মিজানুর রহমান জানান, আবদুল্লাহ আল মামুন তার চরিত্রগত ত্রæটির কারণে একাধিক বিয়ে করার পরও কোন স্ত্রী’র সাথে সে সংসার করতে পারেনি। এ ব্যাপারে লম্পট মামুনের সেল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে ছেলের চাচা মওলানা মোসলেম উদ্দিন জানান, আমার ভাতিজা আল মামুন শিশুটিকে ধর্ষণের কোন চেষ্টা করেনি আদর করেছে মাত্র।
নাগরপুর থানার উপ-পরিদর্শক মামুন মৃধার কাছে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডাক্তারি সনদ না পাওয়ার কারণে অভিযোগটি নথিভূক্ত করতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এস আকবর খান জানান, ধর্ষণ চেষ্টা মামলা রুজু করতে ডাক্তারি সনদের প্রয়োজন নেই।