নাগরপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নাগরপুর উপজেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে নতুন কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা, হট্টগোল ও তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটেছে।
পরে স্থানীয় হিন্দু সমাজের নেতৃবৃন্দদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় নাগরপুর কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত সম্মেলন সভায় টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে ও সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুণ ঝন্টুর উপস্থিতিতে এই তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটে।
আরো পড়ুন – মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক অবরোধ
এতে জেলা নেতৃবৃন্দদের এমন লাঞ্ছিতের ঘটনায় স্থানীয় হিন্দু সমাজের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সম্মেলন সভায় হট্টগোল সংশ্লিষ্ট ১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
এতে দেখা যায়, টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে মাইক নিয়ে কথা বলা অবস্থায় নাগরপুর উপজেলা যুবলীগ দায়িত্বপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ভক্ত গোপাল রাজবংশী পিন্টু কমিটি ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তেজনা ও হট্টগোল সৃষ্টি হয় এবং উভয়পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি ঘটে।
এসময় স্থানীয়রা নতুন সভাপতি-সম্পাদক দুইজনের নাম ঘোষণার দাবি জানালেও জেলা নেতৃবৃন্দ তা নাকচ করে দেন এবং দুইদিন পর কমিটি ঘোষণা করবেন বলে জানিয়ে চলে যান।
নেতৃবৃন্দের মন্তব্য –
টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে বলেন, যারা তর্কাতর্কির চেষ্টা করেছেন তারা না বুঝেই এটি করেছেন।
আমরা পূজা পরিষদের নেতৃবৃন্দ ভালো কাজের জন্যেই সেখানে গিয়েছি।
তারা না বুঝেই আমাদের সাথে এমন হট্টগোল করেছে।
তবে তারা পরবর্তীতে তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে।
কিছু সমস্যা পরিলক্ষিত হওয়ায় আমরা কমিটি ঘোষণা করিনি।
আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তীতে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।
টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুণ ঝন্টু জানায়, স্থানীয়দের দাবী ছিলো যেহেতু আগের কমিটির বিপরীতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নেই; সেহেতু নতুন কমিটি ঘোষণা করা যেতো।
আরো পড়ুন – বিরতি থেকে গ্রেপ্তারকৃতরা টাঙ্গাইলের হোটেল-রিসোর্টের খদ্দেরদের সঙ্গীনী
একটি কারণ থাকায় আমরা কমিটি ঘোষণা দেই নাই। অচিরেই নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।
সাবেক সাধারণ সম্পাদকের মন্তব্য –
তর্কাতর্কির বিষয়ে সাবেক সাধারণ সম্পাদক রামকৃষ্ণ সাহা রামা বলেন, ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের দাবি ছিলো কমিটি ঘোষণার।
কিন্তু জেলা নেতৃবৃন্দ পরে কমিটি ঘোষনার কথা বললে বিষয়টি নিয়ে একটু তর্কাতর্কি হয়।
পরে ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ জেলা কমিটির নেতাদের কথা মেনে নিলে পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, নাগরপুর পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি স্বপন সাহা এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রামকৃষ্ণ সাহা রামা’র সঞ্চালনায় উক্ত সম্মেলন সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।