মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় তহবিল ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বেরহাদের (ওয়ানএমডিবি) আলোচিত দুর্নীতি মামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের ১২ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। গত মঙ্গলবার কুয়ালালামপুরের একটি আদালত তাঁর এ সাজা ঘোষণা করেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন নাজিব। তবে বর্তমানে শর্ত সাপেক্ষে তিনি জামিনে রয়েছেন।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের বিশ্লেষণে বলা হয়, এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, দুই মেয়াদে টানা ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা নাজিবকে দল ছুড়ে ফেলবে, না পাশে দাঁড়াবে? বিশ্লেষকেরা বলছেন, নাজিবের বিষয়ে তাঁর প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (ইউএমএনও) ঐক্যবদ্ধ অবস্থান দলের পুনরুত্থান সুংহত এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের সঙ্গে জোট এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রশস্ত হতে পারে।
ইউএমএনও মালয়েশিয়ায় টানা ৬১ বছর ক্ষমতায় ছিল। ২০১৮ সালে নির্বাচনে হেরে যায় দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক দলটি। ইউএমএনও থেকে দলছুট নেতাদের গড়া জোট পাকাতান হারাপান ক্ষমতায় আসে। মাহাথির মোহাম্মদের দল মালয়েশিয়ান ইউনাইটেড ইন্ডিজেনাস পার্টি ও আনোয়ার ইব্রাহিমের পিপলস জাস্টিস পার্টি জোটে ছিল। জোটের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হন মাহাথির। কিন্তু জোটের দ্বন্দ্বে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মাহাথির পদত্যাগ করলে তাঁর দলের উপপ্রধান মুহিউদ্দিন তলেতলে নাজিবের দল ইউএমএনওর সঙ্গে পেরিকাতান ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স নামের নতুন জোট গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হন। নাজিবের দুর্নীতির অভিযোগের কারণে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভরাডুবি, নেতৃত্ব–সংকট, শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার কারণে ভঙ্গুর ইউএমএনও আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে ওই জোট সরকারের অংশ হওয়ার মাধ্যমে। এখন দলটির ৩৯ জন পার্লামেন্ট সদস্য নতুন জোটকে সমর্থন করবেন কি না, সেটাই প্রশ্ন।বিশ্লেষকেরা মনে করেন, মঙ্গলবারের রায় দলটির মধ্যে নতুন করে বিশৃঙ্খলা উসকে দেবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান কন্ট্রোল রিকসের পরামর্শক ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক হ্যারিসন চেং বলেন, নাজিবের সাজার পক্ষে বা বিপক্ষে ঐক্যবদ্ধ কোনো প্রতিক্রিয়া প্রাথমিকভাবে দলটির পক্ষ থেকে দেখা যায়নি। ফলে নাজিবের পাশে দৃঢ়ভাবে দল রয়েছে, সেটা পরিষ্কার করে বলা যাচ্ছে না।
মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় তহবিল ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বেরহাদের (ওয়ানএমডিবি) আলোচিত দুর্নীতি মামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের ১২ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। গত মঙ্গলবার কুয়ালালামপুরের একটি আদালত তাঁর এ সাজা ঘোষণা করেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন নাজিব। তবে বর্তমানে শর্ত সাপেক্ষে তিনি জামিনে রয়েছেন।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের বিশ্লেষণে বলা হয়, এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, দুই মেয়াদে টানা ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা নাজিবকে দল ছুড়ে ফেলবে, না পাশে দাঁড়াবে? বিশ্লেষকেরা বলছেন, নাজিবের বিষয়ে তাঁর প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (ইউএমএনও) ঐক্যবদ্ধ অবস্থান দলের পুনরুত্থান সুংহত এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের সঙ্গে জোট এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রশস্ত হতে পারে।
ইউএমএনও মালয়েশিয়ায় টানা ৬১ বছর ক্ষমতায় ছিল। ২০১৮ সালে নির্বাচনে হেরে যায় দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক দলটি। ইউএমএনও থেকে দলছুট নেতাদের গড়া জোট পাকাতান হারাপান ক্ষমতায় আসে। মাহাথির মোহাম্মদের দল মালয়েশিয়ান ইউনাইটেড ইন্ডিজেনাস পার্টি ও আনোয়ার ইব্রাহিমের পিপলস জাস্টিস পার্টি জোটে ছিল। জোটের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হন মাহাথির। কিন্তু জোটের দ্বন্দ্বে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মাহাথির পদত্যাগ করলে তাঁর দলের উপপ্রধান মুহিউদ্দিন তলেতলে নাজিবের দল ইউএমএনওর সঙ্গে পেরিকাতান ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স নামের নতুন জোট গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হন। নাজিবের দুর্নীতির অভিযোগের কারণে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভরাডুবি, নেতৃত্ব–সংকট, শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার কারণে ভঙ্গুর ইউএমএনও আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে ওই জোট সরকারের অংশ হওয়ার মাধ্যমে। এখন দলটির ৩৯ জন পার্লামেন্ট সদস্য নতুন জোটকে সমর্থন করবেন কি না, সেটাই প্রশ্ন।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, মঙ্গলবারের রায় দলটির মধ্যে নতুন করে বিশৃঙ্খলা উসকে দেবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান কন্ট্রোল রিকসের পরামর্শক ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক হ্যারিসন চেং বলেন, নাজিবের সাজার পক্ষে বা বিপক্ষে ঐক্যবদ্ধ কোনো প্রতিক্রিয়া প্রাথমিকভাবে দলটির পক্ষ থেকে দেখা যায়নি। ফলে নাজিবের পাশে দৃঢ়ভাবে দল রয়েছে, সেটা পরিষ্কার করে বলা যাচ্ছে না।
নাজিব অভিজাতশ্রেণির রাজনীতিক। তাঁর বাবা ও চাচা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। চাচাতো ভাই ইউএমএনওর জ্যেষ্ঠ নেতা হিশামউদ্দিন হুসেইন বর্তমানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে। সাজাপ্রাপ্ত হলেও দলের মধ্যে নাজিবের গ্রহণযোগ্যতা ও সম্মান এখনো উচ্চ মানের। তাই তো নাজিবপন্থী হিসেবে পরিচিত দলের সর্বোচ্চ পর্ষদের সদস্য লোকমান আদম ও মোহা. পুয়াদ জারকাশি এ রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে খারিজ করে দেন। তবে দলের নেতাদের বেশির ভাগ মন্তব্যই মিশ্র। নাজিবের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দলের সভাপতি ও দুর্নীতি মামলার আসামি আহমাদ জাহিদ হামিদি ফেসবুক পোস্টে এ রায়কে ‘দুঃখজনক’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি দেশের আইনি প্রক্রিয়ায় নাজিবের বিচার পাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সবার কাছে আহ্বান জানান। রায়ের বিষয়ে তাঁর দল রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানান তিনি। তবে হিশামউদ্দিন আদালতের রায় মেনে নেন।
অন্যদের মধ্যে ইউএমএনওর যুবদলের সাবেক প্রধান খায়েরি জামালউদ্দিন সবকিছু পেছনে ফেলে নব উদ্যমে দলকে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। এ মন্তব্যের পর নাজিব ফেসবুক পোস্টে বলেন, পাকাতান হারাপানকে ধ্বংস ও প্রধানমন্ত্রী না হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি সাহসের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাবেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এখন নাজিবপন্থী পার্লামেন্ট সদস্যরা মুহিউদ্দিনের সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিতে পারেন। ফলে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে পারে মুহিউদ্দিনের দল।
২০১৫ সালে ওয়ানএমডিবি দুর্নীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নাজিবের সমালোচনা করায় তৎকালীন উপপ্রধানমন্ত্রীর পদ হারান মুহিউদ্দিন। পরে মুহিউদ্দিন মাহাথিরের সঙ্গে নতুন দল গঠন করেন। তাই নাজিবের ওপর ক্ষোভ রয়েছে মুহিউদ্দিনের। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইউরেশিয়া গ্রুপের পিটার মামফোর্ড বলেন, মুহিউদ্দিন আগাম নির্বাচনের দিকে যেতে পারেন। পেরিকাতান জোটের অংশ হয়ে ইউএমএনও যদি সেই নির্বাচনে যায়, তাহলে দলটি মুহিউদ্দিনের পরিবর্তে নাজিবকেই বেছে নেবে। তবে এটা ঠিক, নাজিবের বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলার ৩৫টি অভিযোগের বিচার চলছে। হয়তো আইনগত ঝামেলায় তাঁকে পড়তে হবে।
সূত্র: paloimages.prothom-alo.com/