নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া থেকে ২ নম্বর রেলগেট পর্যন্ত প্রধান সড়কের ওপর গড়ে উঠেছে ১৩টি অবৈধ সিএনজি, অটো ও লেগুনা স্ট্যান্ড। সেই সঙ্গে ফুটপাত তো বটেই, সড়কের একাংশও দখলে নিয়েছে হকাররা। ফলে শহরের প্রধান প্রবেশপথেই সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট, ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চাষাঢ়ার বাইতুল আমান মসজিদ, রাইফেলস ক্লাব, লাজ ফার্মা, খাজা সুপার মার্কেট, সোনালী ব্যাংক, শহীদ মিনার, আল-জয়নাল ট্রেড সেন্টার, মহিলা কলেজ, আলমাস পয়েন্ট, ফজর আলী ট্রেড সেন্টার ও মিডটাউন শপিং কমপ্লেক্সের সামনে অবৈধভাবে এসব যানবাহন স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছে। এর ফলে শহরের প্রধান সড়কে সারাদিনই যানজট লেগে থাকে।
শহরের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ ফুটপাত—চাষাঢ়া, কালীরবাজার, শহীদ মিনার, ফ্রেন্ডস মার্কেট এলাকা জুড়ে হকারদের দখলে। চলাচলের রাস্তা সংকুচিত হয়ে পড়ায় পথচারীদের চলাফেরা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
সরকারি তোলারাম কলেজের শিক্ষার্থী আমানুল্লাহ আমান বলেন, “৫ আগস্টের পর থেকে ফুটপাতে হকারদের দৌরাত্ম্য আগের চেয়েও বেড়েছে। উচ্ছেদ কার্যক্রম কার্যকর নয়, বরং কর্তৃপক্ষ শুধু হকারদের অনুরোধ করছে।”
একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক আল-আমিন বলেন, “শুধু সড়ক নয়, ফুটপাত দখলমুক্ত করাও জরুরি। পুনর্বাসন ছাড়া সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।”
জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, “আমরা একাধিকবার অবৈধ স্ট্যান্ড ও দখলদার উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছি। প্রয়োজনে অভিযান জোরদার করা হবে।”
নগরবাসীর দাবি, বারবার অভিযান নয়—স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে হকারদের পুনর্বাসন ও সড়ক-ফুটপাত দখলমুক্ত করতে বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ নেওয়া হোক।