আন্তর্জাতিক ধর্মীয় দল জামায়াতে ইসলামের নিবন্ধন বাতিল করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় আপিল বিভাগ বাতিল ঘোষণা করেছে। রোববার (১ জুন) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন এবং নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দেন জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে। তবে দলটির প্রতীক “দাঁড়িপাল্লা” নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি।
রায়ের পর জামায়াতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেন, “এক দশকেরও বেশি আইনি লড়াইয়ের অবসান হলো। হাইকোর্টের রায় বাতিল হওয়ায় জামায়াতের নিবন্ধন পুনরুদ্ধার হলো। এটি বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ,” তিনি যোগ করেন, “আমরা আশা করি এর মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন ও প্রাণবন্ত সংসদ গঠন সম্ভব হবে।”
২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছিল। ২০১৮ সালে নির্বাচন কমিশনও দলটির নিবন্ধন বাতিল করে। এরপর জামায়াত সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে। তবে গতবছর আপিল বিভাগ জামায়াতের আইনজীবীর অনুপস্থিতিতে আপিল খারিজ করে দেন।
এবারের রায়ে আপিল বিভাগ পূর্বের হাইকোর্টের রায় বাতিল করে ইসিকে দ্রুত নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে। জামায়াত নেতারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং মামলার বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের পক্ষে শুনানি হয়।
এই আদেশের ফলে জামায়াতে ইসলামী তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে পারবে এবং আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ সুগম হবে।