নির্বাচন হবে—সবাই জানে, কিন্তু কবে হবে—তা কেউ নিশ্চিতভাবে জানে না। এমন এক অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে বিএনপি। চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী জুনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন হতে পারে—এমনটাই জানাচ্ছে প্রধান উপদেষ্টা ও তার দফতর। তবে এই সময়সীমা নিয়ে পুরোপুরি আশ্বস্ত নয় বিএনপি। তাই সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ জানতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসছে দলটি।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, বৈঠকে আশ্বস্ত হলে নির্বাচনমুখী কৌশল ঠিক করবে দলটি। তবে আশানুরূপ বার্তা না পেলে কর্মসূচিতে যাওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করবো, যেন তিনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি স্পষ্টভাবে ঘোষণা দেন এবং নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুতির নির্দেশ দেন।”
একই কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, “যারা ড. ইউনূসকে ৫ বছর রাখতে চায়, তারাই তাকে বিব্রত করবে এবং দেশকেও অস্থিতিশীল করে তুলবে। সরকার নির্বাচিত না হলে সেটি টিকবে না।”
এদিকে সামাজিক মাধ্যমে ড. ইউনূসকে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় দেখার আহ্বান জানানো কিছু পোস্টও অস্বস্তি তৈরি করেছে বিএনপিতে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মন্তব্যও নতুন করে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
বিএনপি মনে করে, শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশে সংস্কারের সুযোগ তৈরি হয়েছে। তবে এই সংস্কারের আড়ালে ক্ষমতার স্থায়ীত্ব চাচ্ছে কিছু দুর্বল রাজনৈতিক গোষ্ঠী। এসব কারণেই দলটি সরাসরি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসছে।
বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল এ বৈঠকে অংশ নেবে। এই বৈঠকের পরই দলীয় সিদ্ধান্ত আসবে—নির্বাচনের প্রস্তুতি, না কি কর্মসূচিতে যাওয়া।