গত বছরের আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার দীর্ঘদিনের শাসনের পতনের পর দেশজুড়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আশায় উদ্দীপ্ত হয়েছিলেন লাখো মানুষ। কিন্তু প্রায় নয় মাস পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন এখনও অনিশ্চিত, এবং এই বিলম্বে জাতীয় হতাশা বাড়ছে।
এ অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান, শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, যদি তাকে তার কাজ করতে না দেওয়া হয় এবং রাজনৈতিক ও সামরিক সমর্থন না মেলে, তবে তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন।
সরকারের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ড. ইউনূস ইতোমধ্যেই পদত্যাগপত্রের খসড়া প্রস্তুত রেখেছেন। তবে উপদেষ্টারা তাকে বোঝাচ্ছেন, এই মুহূর্তে তার পদত্যাগ বাংলাদেশকে আরও অস্থির করে তুলবে।
রাজনৈতিক অস্থিরতা, সেনাবাহিনীর চাপ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে ড. ইউনূস একপ্রকার কোণঠাসা। বুধবার সেনাপ্রধান ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের আহ্বান জানানোর পর তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
বিএনপি প্রথমদিকে তার সরকারকে সমর্থন দিলেও এখন তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করেছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বেসরকারিকরণ ও অন্যান্য সংস্কার ইস্যুতে মতবিরোধ আরও বাড়িয়েছে। ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও এখন বিএনপির ক্ষমতা দখলের আশঙ্কায় আস্থার সংকটে ভুগছেন।
ইউনূসের সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, ইউনূস বিশ্বাস করেন, তাকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে দায়িত্বে বসানো হয়েছিল, তা আর মানা হচ্ছে না।
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে থাকা বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এখনো অনিশ্চিত। ড. ইউনূস ধৈর্যের সাথে এগোতে চাইলেও দেশজুড়ে চাপ ক্রমাগত বাড়ছে।