নেত্রকোনায় গৃহবধূ লিপি আক্তার হত্যা মামলায় তার দেবর মো. রাসেল মিয়াকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে নেত্রকোনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি রাসেল মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত রাসেল মিয়া (২৮) নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার পশ্চিমপাড়া গ্রামের মো. আলাল উদ্দিনের ছেলে।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, নিহত লিপি আক্তার ছিলেন রাসেল মিয়ার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী। লিপির স্বামী মো. আজিজুল ইসলাম বিজিবিতে কর্মরত থাকায় তিনি পঞ্চগড়ে অবস্থান করতেন। এ সুযোগে রাসেল মিয়া প্রায়ই লিপিকে প্রেমের প্রস্তাব ও কুপ্রস্তাব দিতো। লিপি আক্তার বিষয়টি তার স্বামীকে জানানোর পর ক্ষুব্ধ হয়ে ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর রাতে রাসেল মিয়া ধারালো অস্ত্র দিয়ে লিপি আক্তারকে গলা কেটে হত্যা করে।
ঘটনার পর দিন নিহতের বোন ফেরদৌসী বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। পরে রাসেল মিয়া আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি রাসেল মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আবুল হাশেম এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান।