পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী আফগান সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা ব্যর্থ করে অন্তত ১৬ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে। রবিবার (২৩ মার্চ) দেশটির সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের উত্তর ওয়াজিরিস্তানের গুলাম খান কল্লায় এলাকায় একটি সন্ত্রাসী দল সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করছিল। নিরাপত্তা বাহিনী তাদের শনাক্ত করে প্রতিহত করলে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র বন্দুকযুদ্ধ হয়, এতে ১৬ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়।
পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে আফগান সরকারকে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ কঠোর করার আহ্বান জানিয়ে আসছে। আইএসপিআর বিবৃতিতে বলেছে, “আফগান সরকারের দায়িত্ব তাদের ভূমি সন্ত্রাসীদের হাতে ব্যবহার হতে না দেওয়া, যাতে তারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে না পারে।”
প্রসঙ্গত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত ভাগ করে নেয়, যেখানে একাধিক পারাপারের পথ রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এবং অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীর তৎপরতা ইসলামাবাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক প্রতিবেদনে পাকিস্তানের অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, “কাবুলের ভূমিকা রয়েছে টিটিপির অস্ত্র, রসদ সরবরাহ ও অর্থায়নের ক্ষেত্রে।”
এদিকে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (পিআইসিএসএস) জানিয়েছে। সংস্থাটির তথ্যমতে, ওই মাসে ৭৪টি হামলায় ৯১ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ৩৫ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, ২০ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ৩৬ জন সন্ত্রাসী।
খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশে সর্বাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাস দমনে কঠোর অবস্থান ধরে রাখতে নিরাপত্তা বাহিনী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ।