কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় মাদরাসায় যাওয়ার পথে ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাডুবে নিখোঁজ হওয়া তিন শিক্ষার্থীর মধ্যে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার দত্তেরবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোফাজ্জল হোসেন জানান, নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তল্লাশি চালাচ্ছে। তবে নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে উদ্ধার তৎপরতায় বিঘ্ন ঘটছে।
উদ্ধার হওয়া শিক্ষার্থী শাপলা (১৫) পাকুন্দিয়া উপজেলার চর আলগী গ্রামের মাইনুদ্দিনের মেয়ে। নিখোঁজ দুইজন হলেন—একই গ্রামের হাবিব মিয়ার ছেলে আবির (৭) ও মুমতাজ উদ্দিনের ছেলে জুবায়েদ (৬)। তারা সবাই বিরুই নদীর পাড় দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা জানান, ডিঙি নৌকাটি ময়মনসিংহের বাইশা গ্রামের কাছে ভারসাম্য হারিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে ডুবে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।
চর আলগী গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজ আশরাফ শান্ত বলেন, ‘আমরা বহুদিন ধরে পাকুন্দিয়া ও দত্তের বাজারে একটি সেতুর দাবি জানাচ্ছি। সেতু না থাকায় প্রতিনিয়ত এমন দুর্ঘটনায় প্রাণ যাচ্ছে।’
পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন জানান, নৌকায় থাকা ছয়জন সাঁতরে তীরে উঠলেও তিনজন নিখোঁজ হয়। সকাল ১১টার দিকে শাপলার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুই শিশুকে উদ্ধারে তল্লাশি চলছে।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘দুর্ঘটনাটি গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার এলাকায় হলেও পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ উদ্ধারকাজে সহায়তা করছে।’
নিখোঁজ শিশুদের স্বজনরা নদীর পাড়ে অপেক্ষা করছেন। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে, ক্ষোভও বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে।