টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে প্রসব করা সেই পাগলীর সন্তানের বাবা-মা হতে চান সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দম্পতি। সন্তানটি দত্তক নিতে জেলা প্রশাসকের কাছে এক আবেদন করেছেন, দৈনিক মানবজমিন ও ইংরেজি দৈনিক দ্যা এশিয়ান এজ এর মধুপুর প্রতিনিধি মো. নজরুল ইসলাম।
ওই সাংবাদিক দম্পতি জানান, তাদের বিবাহের দেড়যুগ পার হলেও তাদের কোন সন্তানাদি না হওয়ায় নিঃসন্তান দম্পতি হয়ে জীবনযাপন করছেন। অনেক চিকিৎসা করানোর পরও তাদের কোন সন্তান হয়নি। ডাক্তার বলেছেন সন্তান না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ১৯৮৫ সালের পারিারিক আইনের বিধান মতে অভিবাবক হিসাবে ওই সন্তানটির দায়ভার পেলে তাকে বাবা-মা’র আদর-¯েœহে লালন-পালন করবে বলেও আবেদনে উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য বেশ কিছুদিন যাবৎ মধুপুর উপজেলার চাপড়ী বাজারে অজ্ঞাত একজন পাগলী অবস্থান করত। পাগলী মেয়েটি গত ১৩ জুন শনিবার দিবাগত রাতে পাশর্^বর্তী ঘাটাইল উপজেলার বোয়ালীহাটবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেন। পাগলীর কোন অভিবাবক না থাকায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্তানসহ মেয়েটিকে স্থানীয় ধাত্রী সাজেদা বেগমের হেফাজতে রেখে আসেন।
সংগ্রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো.আব্দুর রহিম মিয়া জানান, পাগলীটির কোন পরিচয় জানা যায়নি। সন্তানটি দত্তক নিতে অনেকে মৌখিক আবেদন করলেও বোয়ালীহাটবাড়ীর অদূরের বাসিন্দা সাংবাদিক নজরুল দম্পতি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত আবেদন করেছেন।
ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার জানান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে গত ১৪ জুন বিকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে নবজাতকের জন্য কিছু প্রসাধনী সামগ্রী, পোশাক, শিশুখাদ্য এবং সন্তানের মায়ের জন্য ফলমূল ও শাড়ি-কাপড় প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেই। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সহায়তায় নবজাতকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং প্রসব পরবর্তী চিকিৎসা ও ওষুধ নিশ্চিত করা হয়। সাজেদা বেগমের আগ্রহের প্রেক্ষিতে নবজাতক ও তার মাকে প্রাথমিক অবস্থায় তার হেফাজতে রাখা হয়। মা ও নবজাতক উভয়ই সুস্থ আছে।