নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদ থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নিহত ফারুক আহমদের বড় ছেলে আহমদ সুমন মজিদ।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ কার্যালয়ে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফজলুর রহমান খান ফারুকের হাতে আহমদ সুমন মজিদের পক্ষে তার মা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাহার আহমদ মনোনয়নটি পত্র তুলে দেন।
এসময় আহমদ সুমন মজিদ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) এমপি; টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভ‚ঞাপুর) আসনের এমপি তানভীর হাসান ছোট মনির; জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান স্মৃতি; জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরন; কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন; প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা নিহত ফারুক আহমদের ছেলে সুমন আমার সন্তানতূল্য।
নির্বাচন নিয়ে যে ভুল বোঝাবুঝির তৈরি হয়েছিল, আজ তার অবসান হলো।
প্রার্থী আহমদ সুমন মজিদের মা ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাহার আহমদ বলেন, কোন টাকার বিনিময়ে নয়; নেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখিয়ে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আমার সন্তানকে আজ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুকের হাতে তুলে দিলাম।
আমার ছেলের সার্বিক দায়-দায়িত্ব আজ থেকে তাঁর।
এবিষয়ে প্রার্থী আহমদ সুমন মজিদ বলেন, আমার পিতৃতুল্য নেতার প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমি জেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করলাম।
এ নিয়ে রাজনৈতিকভাবে পানি ঘোলা করার কোন সুযোগ নেই।
আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ফারুক আহমদের সন্তান হিসেবে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগে সক্রিয় থাকতে চাই।
এবিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার আগের ঘটনা –
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইল শহরস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আহমদ সুমন মজিদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের বিষয়ে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- প্রার্থী আহমদ সুমন মজিদ, তার মা নাহার আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শামছুল হক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) এমপি; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক তানভীর হাসান ছোট মনির এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরন; কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন প্রমুখ।
এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আহমদ সুমন মজিদের জেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।
এসময় নাহার আহমদ নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে তার পরিবারে যেন কোন অনাকাঙ্খিত প্রভাব না পরে; সে বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের নিকট নিশ্চয়তা চান।
পরে নেতৃবৃন্দ সহযোগে জেলা পরিষদে গিয়ে আহমদ সুমন মজিদের মনোনয়ন পত্র ফজলুর রহমান খান ফারুকের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে জমা দেন। সম্পাদনা – অলক কুমার