গণভবনে বসে যারা যড়যন্ত্র করেছে, রাস্তায় গিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করেছে, তাদেরও একই সাজা হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী।
আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন। বাড্ডা থানার হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানের পাঁচ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট বানানো ও তাকে রক্ষা করার জন্য তিনি বিভিন্ন সময় বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।
বিভিন্নভাবে শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করেছেন। আসামিপক্ষের এক প্রশ্নের জবাবে পিপি ফারুক বলেন, ‘ফৌজদারি মামলায় মামা/ভাগ্নে, কালো/সাদা সেটা দেখার কোনো সুযোগ নেই। মামলার বাদী শুধু তথ্য প্রদানকারী। রফিকুল ইসলামকে রাস্তায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কে মামলা করেছে, সেটা মুখ্য না। বিচার্য বিষয় ঠিক আছে কি না সেটা দেখতে হবে।’
শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা মামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার ঘটনায় চার লাইনের জিডি হয়েছিল।
এ হত্যার ২১ বছর পর মামলা হয়েছিল। এ হত্যাকাণ্ডে যারা ষড়যন্ত্রকারী ও যারা গুলি করেছে, তাদের সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শাজাহান খান অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তারা গণভবনে বসে যড়যন্ত্র করেছেন, রাস্তায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করেছেন।
দুজনের একই সাজা হবে। যেহেতু মামলাটি তদন্তাধীন। তাই মামলার স্বার্থে তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। পরে শুনানি শেষে আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।