আদালত প্রতিবেদক : আমি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থেকে মাল বোঝাই করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হই।
তখন আমি, হেল্পার ও মালের মহাজনসহ চার জন ছিলাম।
টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা আসলে কিছু লোক ট্রাকের সামনে বেরিকেড দেয়। গাড়ি আটকিয়ে মারধর করে।
আমি মারের ভয়ে সরে গেলে তারা গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
মামলার কথা বলে পুলিশ আমার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়।
পরে পুলিশ মামলায় যাদের নাম দিয়েছে, আমি তাদের চিনি না।
২০১৫ সালের টাঙ্গাইলের ট্রাক পোড়ানো নাশকতার মামলার বাদি ড্রাইভার আরিফ মোল্লা কথাগুলো বলেন।
এই ঘটনায় ওই ট্রাকে থাকা অন্যান্যরাও একই কথা বলেন। তারাও কাউকে চেনে না বলে জানিয়েছেন এই মামলায় দেয়া সাক্ষ্যতে।
পুলিশ তাদের কাছ থেকেও সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়।
সাক্ষীদের বক্তব্য –
সাক্ষী ইসমাইল হোসেন, মো. আলাল হোসেন ও আব্দুল মোন্নাফ বলেন, ট্রাকে আগুন ধরাতে গেলে আমরা বাঁধা দেই।
তারা আমাদের চড় থাপ্পর মারে ও লাঠিসোটা নিয়ে মারতে আসলে আমরা ভয়ে সরে যাই। পরে তারা ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দিয়ে চলে যায়।
এরপর আমরা ও ফায়ার সার্ভিস মিলে আগুন নিভাই। এসময় তারা বলেন, কারা আগুন দিয়েছে আমরা তাদের চিনি না।
পরে পুলিশ আমাদের সবার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়।
পুলিশ মামলায় কি লিখেছে বা কাদের নাম দিয়েছে তা তারা জানেন না।
মামলার রায় –
সাক্ষী এই সাক্ষ্যর ভিত্তিতে মামলাটি খারিজ করে সকল আসামিদের খালাস দেন বিচারক।
মামলায় টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, যুবদলের আহ্বায়ক, সদস্য সচিবসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ ও আরো অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক গোলাম মাহাবুব খান এ রায় দেন।
পিপি যা বলেন –
দুপুরে তথ্য নিশ্চিত করে আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, মামলার বাদি ট্রাক চালক সিরাজগঞ্জের আরিফ মোল্লা ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য আর আসামিদের না চেনার কারণে মামলাটি খারিজ করেন বিচারক।
উল্লেখ, ২০১৫ সালের ৯ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৭টার দিকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের চিতাখোলা পাড় নামক স্থানে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা আগুন দেয়।
এ ঘটনায় ওই রাতেই ১৪৩/১৪৪/৩৪১/৪২৭/৩২৩ ধারায় মামলা দায়ের হয়।
ওই ট্রাকের চালক আরিফ মোল্লা বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৫।