নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পৌলী নদীতে ভেকু বসিয়ে মাটি উত্তোলন ও বিক্রি করায় চরম হুমকির মুখে পড়েছে নদীর ওপর নির্মিত ঢাকা – টাঙ্গাইল – বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে নির্মিত পৌলী সেতু ও টাঙ্গাইল শহর রক্ষা বাঁধ।
মাটি উত্তোলনের ফলে সেতুর দু’পাশ থেকে মাটি ধসে গিয়ে বড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।
এলেঙ্গা পৌরসভার রাজাবাড়ী গ্রামের উজ্জ্বল নামের এক বালু ব্যবসায়ী পৌলী নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে।
উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পরেছেন নদী ভাঙন কবলিত এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার পৌলী নদীর ওপর কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মহাসড়ক ও রেল সেতুর অদূরে ভেকু বসিয়ে বালু কেটে বিক্রি করা হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাইড রক্ষা বাঁধটিও রয়েছে হুমকির মুখে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, সরকার দলীয় লোকজনের সহযোগিতায় উজ্জ্বল নামের এক বালু ব্যবসায়ী বালু উত্তোলন ও বিক্রি করছে।
এ বালু উত্তোলনের ফলে এর আগে তিতাস গ্যাসের মূল পাইপলাইন ফেটে ভেসে উঠে।
এতে টাঙ্গাইল, গাজীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় গ্যাস সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
ওই সময় নদী থেকে বালু উত্তোলনে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে কিছুদিন বালু উত্তোলন ও বিক্রি বন্ধ থাকে।
পরে পাইপলাইন মেরামত করা হলে পুনরায় বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে চলেছে প্রভাবশালীরা।
তারা আরো জানান, কয়েকবার পৌলী রেল সেতু অ্যাপ্রোচ ধ্বসে গেছে, এতে সরকারকে প্রতিনিয়তি ভর্তুকি দিতে হয়েছে।
প্রশাসনের নাকের ডগায় বালু উত্তোলনের মহোৎসব বিষ্ময় প্রকাশ করে এলাকাবাসী।
বালু ব্যবসায়ী উজ্জ্বল খবরবাংলা’কে বলেন, এইটা আমার নিজস্ব জায়গা। উপজেলা ভূমি অফিস, ইউএনও ও জেলা প্রশাসকের বরাবর আবেদনের মাধ্যমে তাদের অবগত করেই মাটি কাটা হচ্ছে।
আর হাইকোর্ট থেকে রুল জারি করেছে। আমার জমিতে যা খুশি তাই করতে পাড়বো এতে প্রশাসন বাঁধা দিতে পারবে না।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম জানায়, বিষয়টি আমি অবগত আছি। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি খবরবাংলা’কে বলেন, অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলমান আছে, চলমান থাকবে। সম্পাদনা – অলক কুমার