নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন, টাঙ্গাইল বিসিক শিল্পনগরীর প্রধান সড়কে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চলছে অবৈধ পরিমাপ যন্ত্র।
সরকারি জায়গা ও সড়ক দখল করে দীর্ঘদিন যাবৎ এই ব্যবসা করছে প্রভাবশালী মেসার্স সোনালী ফ্লাওয়ার মিলস।
বিসিক শিল্পনগরীর প্রধান সড়কে এই পরিমাপ যন্ত্র বসানোর ফলে ওই সড়কে প্রায়ই যানজট লেগে থাকে।
দখলকারী প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কথা বলতে সাহস পায় না।
অবিলম্বে টাঙ্গাইল বিসিকের প্রধান সড়কের সরকারি জায়গা হতে অবৈধ পরিমাপ যন্ত্রটি সরিয়ে সরকারি জায়গা উদ্ধার করার দাবি এলাকাবাসীর।
এদিকে, বিসিক বলছে, গত ১২ বছরে পাঁচটি নোটিশ দেয়া হয়েছে অবৈধ পরিমাপ যন্ত্র সরানোর জন্য। তারা এখনো সরায়নি।
এবার চূড়ান্ত নোটিশ দিয়ে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইল শহরের পাশেই বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন, টাঙ্গাইল বিসিক শিল্পনগরী।
শিল্পনগরীর প্রধান সড়কে ঢুকতেই সড়কের মধ্যে দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর ধরে বসানো হয়েছে একটি অবৈধ পরিমাপ যন্ত্র।
এই পরিমাপ যন্ত্রে দিন-রাত বিভিন্ন গাড়ির ওজন করা হয়।
ফলে বিসিকের সড়ক সহ মাঝে মাঝে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজট লেগে যায়।
কিন্ত দখলকারী প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কথা বলতে পারে না।
সরকারি জায়গা ও সড়ক দখল করে চলছে এই অবৈধ ব্যবসা করছে টাঙ্গাইল বিসিক শিল্পনগরী প্রভাবশালী মেসার্স সোনালী ফ্লাওয়ার মিলস।
এখানে গাড়ির ওজন করাতে একশত থেকে তিনশত টাকা পর্যন্ত গুনতে গাড়ির ওজন প্রতি।
জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন শত শত গাড়ি ওজন করাতে যায় এখানে।
ভূক্তভোগীদের কথা –
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক জানান, তিনি প্রায় ১৫ বছর যাবত বিসিকের রাস্তার উপর পরিমাপ যন্ত্রটি স্থাপন করেছেন।
এখানে বিসিকে আসা গাড়ির মালামাল পরিমাপের পাশাপাশি বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালমাল পরিমাপ করে থাকেন।
যার ফলে প্রতিনিয়তই বিসিকের অভ্যন্তরীন রাস্তায় যানজট লেগে থাকে।
এছাড়াও অতিরিক্ত ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে বিসিকের রাস্তাও দ্রুত নষ্ট হয়ে গেছে।
সোনালী ফ্লাওয়ার মিলস এর বক্তব্য –
অভিযুক্ত টাঙ্গাইল বিসিক শিল্পনগরীর প্রভাবশালী মেসার্স সোনালী ফ্লাওয়ার মিলস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, পরিমাপ যন্ত্রের কিছু জায়গা আমার আর কিছু বিসিকের।
বিসিকের সাথে কথা বলেই এই কাজ করেছি। এখন সরানোর চেষ্টা করছি।
এবিষয়ে জানতে বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মো. মনসুরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিসিক কর্তৃপক্ষের কথা –
বিসিকের সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. তহিদুল হক জানান, গত ১২ বছরে পাঁচটি নোটিশ দেয়া হয়েছে এই অবৈধ পরিমাপ যন্ত্র সরানোর জন্য; তারা এখনো সরায়নি।
এবার চূড়ান্ত নোটিশ দিয়ে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে এবং পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।