প্রস্তাবিত আইটি পার্ক ঘাটাইলেই বাস্তবায়নের দাবিতে হাজারো মানুষ রাস্তায়

আইটি সেন্টার স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন

ঘাটাইল প্রতিনিধি : মেলে প্রশাসনিক অনুমোদন। শেষ হয় দলিল সম্পাদনের কাজ। সাটিয়ে দেওয়া হয় সাইনবোর্ড। অর্থাৎ সব প্রক্রিয়া শেষ।

ঘাটাইলবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে। এটি যে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর উপহার।

শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার; যা শেখ কামাল হাইটেক পার্ক নামে পরিচিত।

বাঁধভাঙা আনন্দে মাতে ঘাটাইলের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে করে আনন্দ মিছিল।

গত সপ্তাহে পাওয়া এক সংবাদে আনন্দ তাদের রূপ নেয় বিষাদে। স্বপ্নের হাইটেক পার্ক ঘাটাইলে স্থাপন হচ্ছেনা!

একনেকের সভায় অর্থ ছাড় দেওয়া হয়েছে পার্শ্ববর্তী উপজেলার মধুপুরের নামে। স্বপ্নভঙের এমন খবরে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে মানুষ।

ঘাটাইলের নামে অনুমোদিত পার্ক ঘাটাইলেই স্থাপনের দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়।

বিষয়টি নিয়ে ঘাটাইলে গড়ে উঠেছে পার্ক রক্ষা কমিটি।

পার্ক রক্ষায় আজ রোববার (২২ মে) সকাল ১১ টার দিকে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঘাটাইলের পাকুটিয়া থেকে হামিদপুর পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়কে সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেন।

সকল শ্রেণি পেশার মানুষ তাদের প্রাণের দাবীতে রাস্তায় নেমে আসে। উপজেলার শাহপুর, পাকুটিয়া, পোড়াবাড়ি, ব্রাহ্মণশাসন, কদমতলী ও হামিদপুর এলাকায় একযোগে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

জমি বিক্রয় নোটিশ

স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, ইউপি চেয়ারম্যানগণ, সুশিল সমাজের প্রতিনিধি, সংস্কৃতিকর্মী, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকসহ সকল শ্রেণি পেশার প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষ মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন।

পরে পার্ক রক্ষা কমিটির আহবায়ক জুলফিকার হায়দারের সভাপতিত্বে ঘাটাইল উপজেলা পরিষদের সামনে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তব্য রাখেন- কমিটির সদস্য সচিব আতিকুর রহমান; ঘাটাইল সরকারি জি.বি.জি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুল আলম মনি; উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ সরকার; জি.বি.জি কলেজের সাবেক ভিপি আবু সাঈদ রুবেল প্রমুখ।

বক্তারা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এর আগে শেখ কামাল হাইটেক পার্ক রক্ষা কমিটি গত বুধবার টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে “কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের হস্তক্ষেপে পার্কটি মধুপুরে স্থানান্তরিত হয়েছে” মর্মে অভিযোগ করেন ।

আইটি সেন্টার স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন

প্রসঙ্গত –

২০১৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাই-টেক পার্কের অনুকূলে ১২ একর ৭৭ শতাংশ জমি বিনামূল্যে বরাদ্দ প্রদানের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চিঠি দেয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়।

২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর মেলে পার্কের প্রশাসনিক অনুমোদন।

১ লাখ এক হাজার টাকায় নামমাত্র মূল্যে ১২ একর ৭৭ শতাংশ খাস জমি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের নামে দলিল করা হয়।

এরপরও শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টারটি ঘাটাইল থেকে মধুপুর স্থানান্তর করা হয়। সম্পাদনা – অলক কুমার