প্রস্রাবে ফেনা দেখা সাধারণত প্রস্রাবের দ্রুত গতির কারণে হয়। তবে যদি ফেনার পরিমাণ অতিরিক্ত হয় এবং সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে, তা কোনো গুরূতর রোগের ইঙ্গিত দিতে পারে। বিশেষ করে কিডনি সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে এই ফেনা দেখা যেতে পারে।
প্রস্রাবে অতিরিক্ত ফেনা হওয়ার পেছনে ডায়াবেটিস অন্যতম কারণ। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে কিডনি থেকে প্রোটিন (অ্যালবুমিন) প্রস্রাবে বের হতে শুরু করে, যা ফেনা তৈরি করে। টাইপ-২ ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে ঝাপসা দৃষ্টি, শুষ্ক মুখ, অতিরিক্ত তৃষ্ণা ও ঘন মূত্রত্যাগের সঙ্গে এটি যুক্ত থাকতে পারে।
প্রস্রাবে ফেনা দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডাক্তার প্রস্রাবে প্রোটিনের মাত্রা পরীক্ষা করবেন এবং ক্রিয়েটিনিনের সঙ্গে তুলনা করে কিডনির অবস্থা নির্ণয় করবেন।
অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব আটকে রেখে হঠাৎ করলে অস্থায়ী ফেনা দেখা যায়, যা স্বাভাবিক। তবে ফেনার স্থায়িত্ব এবং বাড়তি উপস্থিতি কিডনি রোগের ইঙ্গিত হতে পারে।
ফেনাযুক্ত প্রস্রাবের অন্যান্য কারণ:
ডিহাইড্রেশন: পানির অভাবে প্রস্রাব ঘন ও গাঢ় হয়ে ফেনা তৈরি করতে পারে।
কিডনি রোগ: কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে রক্তের প্রোটিন প্রস্রাবে মিশে যায়, যা ফেনা সৃষ্টি করে।
সুতরাং, ফেনাযুক্ত প্রস্রাবকে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সময়মতো রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।