ভারতের উত্তরপ্রদেশের মিরাট শহরে স্বামীকে নির্মমভাবে হত্যার পর প্রেমিকের সঙ্গে একই কারাগারে থাকার আবেদন করেছিলেন মুসকান নামের এক নারী। তবে আদালত তার আবেদন নাকচ করে দিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে এনডিটিভি জানায়, ২০১৬ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন মুসকান ও সাবেক নৌ কর্মকর্তা সৌরভ রাজপুত। তাদের ছয় বছরের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। তবে বিয়ের পর থেকেই সৌরভের পরিবারের সঙ্গে মুসকানের সম্পর্কের অবনতি ঘটে, যার ফলে তারা আলাদা বাসায় থাকতে শুরু করেন।
২০১৯ সালে মুসকান ও তার বন্ধু সাহিলের পরকীয়ার বিষয়টি জানতে পারেন সৌরভ। বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিলেও মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তিনি মত বদলান। পরবর্তীতে চাকরিসূত্রে তিনি দুই বছর লন্ডনে কাটান এবং সম্প্রতি মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে দেশে ফেরেন।
পুলিশ জানায়, দেশে ফেরার পর স্বামীর ওপর মাদক প্রয়োগ করে প্রেমিক সাহিলের সহায়তায় তাকে হত্যা করেন মুসকান। পরে মরদেহ টুকরো টুকরো করে প্লাস্টিকের ড্রামে ভরে মুখ সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করে দেন। হত্যার পর প্রেমিককে নিয়ে মানালিতে ঘুরতে যান মুসকান। তদন্তে এসব তথ্য উঠে এলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে দুজনেই বিচারবিভাগীয় হেফাজতে আছেন। তবে কারাগারে প্রেমিক সাহিল ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া ও ঘুমাচ্ছেন না, তার আচরণও খিটখিটে হয়ে উঠেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি মাদকাসক্ত। এদিকে মুসকানও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। পুলিশ অধিকতর তদন্তের জন্য তাদের রিমান্ড আবেদন করেছে।