প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম মঙ্গলবার বলেন, “আমরা শুনেছি কানাডাতে অবস্থান করছেন,” যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়র স্টারমারকে নিয়ে। তবে আজ বুধবার এক ব্রিফিংয়ে তিনি এই তথ্য “ভুল” দাবি করে জানান, স্টারমার আসলে যুক্তরাজ্যেই রয়েছেন ।
শফিকুল আলম উল্লেখ করেন, একটি ব্রিটিশ এমপি জানিয়েছেন স্টারমার সম্ভবত কানাডায়; কিন্তু এটাকে “সম্ভবত” হিসেবে বলেছেন যেটি পরবর্তীকালে বিভ্রাট তৈরি করে। তিনি জানান, “এখানে একটি মিসটেক হয়েছে… পরে আমরা দেখেই সংশোধন করেছি — উনি যুক্তরাজ্যেই আছেন।”
তিনি আরও বলেন, স্টারমার যদি জুন ১৪ নাগাদ যুক্তরাজ্যে ফিরতে পারেন, তবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না ।
এ ছাড়া, শফিকুল আলম জানান যে ব্রিটেন এখন “স্পেন্ডিং রিভিউ”-এ ব্যস্ত, অর্থাৎ ভবিষ্যৎ ব্যয়ের পরিকল্পনা ও অগ্রাধিকার নির্ধারণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ।
🔍 বিশ্লেষণ
তথ্য-যাচাইয়ের গুরুত্ব: সামান্য ‘সম্ভবত’ কথাটিকেও যাচাই করতে হত, যাতে মিডিয়ায় বিভ্রাট না ছড়ায়।
দ্রুত সংশোধনের মনোভাব: ভুল স্বীকার ও তাৎক্ষণিক সংশোধন একটি দায়িত্বশীল প্রচেষ্টা প্রতিফলিত করে।
সাক্ষাৎকালের অনিশ্চয়তা: স্টারমারের যুক্তরাজ্যে থাকার ভিত্তিতে এখনো তফসিল চূড়ান্ত হয়নি—পরবর্তী সময় নির্ধারণ পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।
এই ঘটনার মাধ্যমে পরিষ্কার হলো—নানান কূটনৈতিক প্রেক্ষাপটে, তথ্যের নির্ভুলতা ও স্থিরতা প্রথম এবং অপরিহার্য।