ডেস্ক নিউজ : ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে বলেই আমি আজকে মামলা থেকে খালাস পেয়েছি, বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, ফ্যাসিবাদের আমলে বিচার বিভাগ আওয়ামী লীগের স্টেশনে পরিণত হয়েছিল। এই ফ্যাসিবাদের পতন না হলে আজকে মামলা থেকে খালাস পেতাম না। আদালতের চেয়ে বেশি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই জুলাই বিপ্লবের শহীদদের প্রতি। কারণ জুলাই বিপ্লবের শহীদদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে।
ভারতে পালানো স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মামলায় সাজার বিরুদ্ধে আপিল করে আজ সোমবার খালাস পেয়েছেন মাহমুদুর রহমান। খালাস পেয়ে নিজের প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি। এ দিন ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তারিক এজাজের আদালত মাহমুদুর রহমানকে খালাস দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও দলটির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্য দলগুলোর উচ্চ পর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।
এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় এ মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত। ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে মাহমুদুর রহমান আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে ওই বছরের ৩ অক্টোবর আপিলের শর্তে তিনি জামিনে কারামুক্ত হন। পরে গত ১২ ডিসেম্বর সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেন তিনি। গত ২৩ জানুয়ারি আপিল শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।