নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের বাসাইলে বখাটে বাঁধন ও লৌহজংগ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লৌহজংগ উচ্চ বিদ্যালয়ে ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মটরাতে এই মানববন্ধন করে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া এলাকাবাসী বলেন, বখাটেদের ও প্রধান শিক্ষকের কারণে শান্তিপূর্ণভাবে বিদ্যালয়ে ছেলে-মেয়ে পাঠাতে পারিনা।
তারা ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রধান শিক্ষক সহ বখাটে বাঁধনকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি করেন।
দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিবো।
আলীফা আক্তার জুঁইয়ের মতো আর কোনো শিক্ষার্থীর যেনো এমন মৃত্যু না হয়; বখাটেরা যেনো শিক্ষা ব্যবস্থা নষ্ট না করতে পারে।
ডিসি ও এসপির কাছে আকুল আবেদন করছি বখাটে বাঁধন ও প্রধান শিক্ষককে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, বখাটেদের জন্য প্রধান শিক্ষক ব্যবস্থা নেয়নি।
বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে বখাটে ছেলেরা আমাদের মেয়েদের বিরক্ত করে।
প্রধান শিক্ষক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা বাধ্য হয়ে রাজপথে নেমেছি। আমরা চাই সঠিক বিচার হোক। আসামী বাধঁনের ফাঁসি হোক। প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় থেকে পদত্যাগ করুক।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, হাবলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী আজম, লৌহজংগ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. সুলতান,খন্দকার রিন্টু, বাবুল দেওয়ান।
এছাড়াও ছিলেন সাব্বির হোসেন ভেননাস, মুশফিকুর রহমান নয়ন সিকদার,আব্দুল আউয়াল খলিফা সহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য,উপজেলার লৌহজং উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আলীফা আক্তার জুঁইকে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার মাঝে দীর্ঘদিন ধরে বাঁধন ওরফে পিচ্চি বাঁধন নামের এক বখাটে উত্যক্ত করে আসছিল।
সম্প্রতি উত্যক্তের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। ওই ছাত্রীকে এসিড দিয়ে মুখ জলসে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে বখাটে বাঁধনসহ তার পরিবার এবং ওই ছাত্রীসহ তার পরিবারকে ডেকে নেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
সেখানে বখাটে বাঁধনকে শাসিয়ে দেওয়া হয়। এসময় ওই ছাত্রীও বেশ অপমানিত হয়।
এরপর বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে ফেরার পরপরই ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
খবর পেয়ে বাসাইল থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই বখাটে ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে বাসাইল থানায় মামলা হয়েছে।