নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। লুটপাট করে বিদেশে অর্থ পাচার করেছে।
অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্যে বিদেশে না পাঠালে পালানোর পথ থাকবেনা বলে হুশিয়ারী দেন তিনি।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইলে জেলা সদর মাঠে বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী বলেছেন তারা আইনের বাইরে যেতে পারবেনা।
আইনমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ তো বেআইনীভাবেই ক্ষমতায় বসে আছে।
দিনের ভোট রাতে নিয়ে সরকার গঠন করেছে। গত ১৪ বছর ধরে আওয়ামী লীগ দেশকে অন্ধকারে রেখেছে।
বিএনপির ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়েছে। জেলজুলুম, নির্যাতন করে দমন নিপিড়িন চালিয়ে দমিয়ে রাখতে চেষ্টা করেছে।
এজন্য তারা আইনশৃংখলা বাহিনীকে ব্যবহার করছে। আমেরিকা ইতিমধ্যে র্যাবসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সাত কর্মকর্তাকে সেখানে নিষিদ্ধ করেছে।
আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের নামেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বলে শুনেছি। আরো নাম আসতে পারে ধারনা করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ এখন সংলাপ সংলাপ খেলা শুরু করেছে। তারা নাকি নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। কি হবে নির্বাচন কমিশন গঠন করে। নির্বাচন কমিশন তো গোটা নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, সংলাপ করে নির্বাচন কমিশন গঠন করে লাভ নেই; নির্বাচনে আগে নিরপেক্ষ সরকার যাকে আমরা তত্বাবধায়ক সরকার বলি তা গঠন করতে হবে।
বাংলাদেশে এখন সংকট চলছে উল্ল্যেখ করে মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এখন কথা বলা যায়না; গনতান্ত্রিক পরিবেশ নেই।
সরকার ১০টাকা চাল খাওয়াবে, ঘরে ঘরে চাকরী দেয়ার কথা বলেছিল। এখন শুধু আওয়ামী লীগের লোকেরাই চাকুরী পায়।
সরকারী চাকুরী পেতে ২৫ লাখ টাকা লাগে। আর চালের দাম ৭০ টাকা। এ সরকার জনগনের স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের আটটি বিভাগে সমাবেশের মাধ্যমে দাবি আদায়ের কর্মসুচি চলছে।
এদেশ, মাটি, সংবিধান, মানুষের জীবন-সম্পাদ ও অধিকার রক্ষার দায়িত্ব বিএনপির। আসুন আমারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে গনতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনি।
সমাবেশে আরো যারা বক্তব্য রাখেন –
জেলা বিএনপি আহবায়ক কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আযম খানের সভাপতিত্বে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অবঃ মাহমুদুল হাসান, ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সম্পাদক এডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী, শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতন সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় সদস্য ফকির মাহবুব আনান স্বপন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু প্রমুখ। সম্পাদনা – অলক কুমার