জাতীয় ফুটবল দলের অনুশীলনে অবশেষে পূর্ণতা এসেছে। বসুন্ধরা কিংসের ১০ ফুটবলার যোগ দেওয়ায় সোমবার জাতীয় স্টেডিয়ামে পুরো দলকে নিয়ে অনুশীলন করালেন স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। তবে মাঠের অনুশীলনের চেয়ে বেশি আলোচনায় ছিলেন ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটির ফুটবলার হামজা চৌধুরী।
আগামী ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর নেপালে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এজন্য ৩ সেপ্টেম্বর দেশ ছাড়বে জাতীয় দল। তবে এই উইন্ডোতে হামজা চৌধুরী খেলবেন কিনা তা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা কাটেনি।
অনুশীলনের আগে হামজাকে নিয়ে প্রশ্নের জবাবে কোচ কাবরেরা বলেন, “এটা ম্যানেজমেন্টের বিষয়। তারা বিষয়টি দেখছে। দল নেপাল সফরের জন্য প্রস্তুত। হামজা যদি শেষ পর্যন্ত না আসে, সমস্যা হবে না।”
তবে খেলোয়াড়দের মধ্যে খানিকটা ভিন্ন সুর। সিঙ্গাপুর ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা তপু বর্মণ বলেন, “আমাদের অনেক কিছু শুরু হয় হামজাকে দিয়ে। তার ব্যস্ত সূচি রয়েছে। এরপরও সে আসার চেষ্টা করছে। যদি না আসতে পারে আমাদের কষ্ট হবে, তবে মানিয়ে নিতে হবে।”
দলীয় ম্যানেজার আমের খান জানিয়েছেন, রোববারও হামজার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আলাপ হয়েছে এবং বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন।
৯ অক্টোবর শুরু হবে বাংলাদেশের এশিয়ান কাপ বাছাই পর্ব। হংকংয়ের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই নেপালে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ নিয়ে তপু বর্মণ বলেন, “নেপাল ও হংকংয়ের খেলার ধরনে মিল আছে। দুই দলই লো ডিফেন্স ব্লক করে। এই ম্যাচ আমাদের কাজে লাগবে।”
৬ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। যদিও স্টেডিয়ামটি ফিফা ও এএফসির আয়োজিত প্রতিযোগিতার জন্য নিষিদ্ধ, তবে প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের অনুমতি আছে। খেলোয়াড়রা মনে করছেন, আবহাওয়া ও উচ্চতা কিছুটা প্রভাব ফেললেও সমন্বয়ের জন্য পাঁচ দিনের প্রস্তুতি যথেষ্ট হবে।