বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শুধু একটি সামরিক শক্তি নয়, বরং জাতির গর্ব ও ঐক্যের প্রতীক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগ ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়েও দেশ ও জাতির প্রয়োজনে প্রতিটি সংকটে সাহসিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে সেনাবাহিনী।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অসাধারণ ভূমিকার মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা উজ্জ্বল করেছে। করোনা মহামারি থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন থেকে শুরু করে ভোটার তালিকা ও পাসপোর্ট তৈরিতে সেনাবাহিনীর অবদান উল্লেখযোগ্য।
পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমন, সীমান্ত সুরক্ষা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী জনআস্থার প্রধান প্রতীক হিসেবে কাজ করছে। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সংকটেও সেনাবাহিনীর ভূমিকা ছিল দায়িত্বশীল ও ঐতিহাসিক।
আধুনিক সমরাস্ত্র, উন্নত প্রশিক্ষণ, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং পেশাদারিত্বে আজকের সেনাবাহিনী বিশ্বের যে কোনো বাহিনীর সঙ্গে তুলনীয়। শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বব্যাপী সেনাবাহিনীর অবদান শুধু দেশের নয়, জাতিরও অহংকার।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাই শুধু রণক্ষেত্রের নয়, বরং উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা ও শান্তির পথে জাতির এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি।