বাকস্বাধীনতা রক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কবি-সাহিত্যিকদের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, “বিতাড়িত স্বৈরাচারকে প্রতিহত করতে এবং মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঠেকাতে সাহিত্যিকদের এগিয়ে আসতে হবে। দেশের প্রকৃত মালিক জনগণ। তাই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এখন সময়ের দাবি।”
গতকাল (১৭ আগস্ট) বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে বিএনপি মিডিয়া সেল ও জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান উল্লেখ করেন, অতীতে কবিরা বাকস্বাধীনতার পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন এবং ভবিষ্যতেও রাখবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি নজরুল, রবীন্দ্রনাথ ও দেশপ্রেমমূলক কবিতা-গানের উদাহরণ দিয়ে বলেন, “এই জাতির সংকটে সবসময় কবি-সাহিত্যিকরা জাতিকে পথ দেখিয়েছেন।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি মোহন রায়হান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট নূরুল ইসলাম মনি এবং বক্তব্য দেন কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, মতিন বৈরাগি, কবি সোহেল রশিদ, অনামিকা হক লিলি, শ্যামল জাকারিয়া, সম্পাদক আবু সাঈদসহ অনেকে।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “স্বৈরাচার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কণ্ঠরোধে বহু ষড়যন্ত্র করেছে, কিন্তু জনগণের ভালোবাসা দিয়ে সেই ব্যারিকেড ভেঙে দেওয়া হয়েছে।”
আবু সাঈদ খান বলেন, “বাকস্বাধীনতা যেন শুধু বিরোধীদের জন্য না হয়, ক্ষমতায় এলে সমালোচনার সুযোগও যেন থাকে।”
বিএনপি মিডিয়া সেলের ডা. মওদুদ আলমগীর পাভেল বলেন, “তারেক রহমান এমন নেতাই যিনি নিজের সমালোচনাতেও কার্টুনিস্টকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বিএনপি অতীতেও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা করেছে এবং ভবিষ্যতেও তা করবে।”