টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে নাটিয়াপাড়া এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে পলিথিনে মোড়ানো ফেলে যাওয়া অজ্ঞাত লাশের পরিচয় মিলেছে। এরপর ধর্মীয় নিয়ম মোতাবেক তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। সে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার আমজানী গ্রামের নকুল চন্দ্র দাসের ছেলে চেতন চন্দ্র দাস।
বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা কমিটির তত্ত্ববধানে জেলার কাগমারীস্থ রানী দিনমনি মহাশ্মশানে শেষকৃত্য (দাহ) সম্পন্ন করা হয়।
এর আগে গত ১৪ জুন (রোববার) সকালে অজ্ঞাত (৩৫) ব্যক্তির পলিথিনে মোড়ানো লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে রবিবার সকালেই দেলদুয়ার থানা পুলিশ অজ্ঞাত হিসেবে লাশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
পরে টাঙ্গাইল সিআইডি ক্রাইমসিন টিম ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করে।
দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে সাইদুল হক ভূইয়া জানান, চেতনের বাবা, ভাই ও কাকা আমাকে জানায় সে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
অন্যদিকে লাশের শেষকৃত্য শেষে টাঙ্গাইলের পুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয় বিদারক। কোন বাবা তার সন্তানকে, সহোদর ভাই তার ভাইকে এভাবে ফেলে যেতে পারে বিশ্বাসই হয় না। করোনা আমাদের অনেক কিছু দেখিয়ে গেল, অনেক শিক্ষা দিল। এসময় তিনি আরো বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শেষকৃত্য করার জন্য একটি কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, পুজা উদযাপন পরিষদ টাংগাইল জেলার সভাপতি অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে, সদরের যুগ্ম-সম্পাদক বিশ্বজিৎ কুমার সাহা লিটন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উপ-পরিচালক রমেশ চন্দ্র সরকার।