বাসাইল প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের বাসাইলে এক স্কুলছাত্রী নিখোঁজের চারদিন হলেও এখন পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি।
এ ঘটনায় পুলিশ সাধারণ ডায়েরি নিলেও মামলা নিতে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই শিক্ষার্থীর পরিবার।
এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীর পরিবার চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।
নিখোঁজ শিক্ষার্থী বাসাইল উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের বাসিন্দা।
সে করটিয়া আবেদা খানম গালর্স হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা যায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি সকালে ওই শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে গেলেও ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে না ফেরায় বিদ্যালয়ে খোঁজ নেওয়া হয়।
এক পর্যায়ে তার পরিবার জানতে পারেন- ওই শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে পৌঁছানোর আগেই করটিয়া বাজার এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়।
এদিন রুবেল নামের এক বখাটে ওই শিক্ষার্থীকে ফুঁসলিয়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে গুম করে।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর পরিবার রাতেই বাসাইল থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন।
নিখোঁজের চারদিন হলেও এখনও শিক্ষার্থী উদ্ধার বা অভিযুক্ত রুবেলকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
নিখোঁজ শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার সময় মির্জাপুর উপজেলার চুকুরিয়া টুকরাপাড়া এলাকার আনোয়ার খানের ছেলে রুবেল খান নামের এক ভেক্যু চালক উত্ত্যক্ত করতো।
এক পর্যায়ে আমার মেয়ে বিষয়টির প্রতিবাদ করে।
এ ঘটনায় রুবেল ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২ ফেব্রুয়ারি স্কুলে যাওয়ার সময় করটিয়া বাজার থেকে আমার মেয়েকে অপহরণ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ওইদিন রাতেই বাসাইল থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়েরি নেন।
এ ঘটনায় শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পুলিশ অভিযুক্ত রুবেলের মা ও বোনকে আটক করে।
পরে রাতেই রহস্যজনক কারণে পুলিশ তাদের দুজনকে ছেড়ে দেয়।
নিখোঁজের এই চারদিনেও পুলিশ আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি। পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করছে।’
জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের বক্তব্য –
মির্জাপুর উপজেলার চুকুরিয়া টুকরাপাড়া এলাকার ইউপি সদস্য মামুন হোসেন বলেন, ‘শুনেছি রুবেল ও মেয়েটির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।
তারা পলাতক রয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।’
বাসাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বলেন, ‘মেয়েটিকে উদ্ধারে আমরা সর্বাত্বক চেষ্টা করছি।
আশা করছি খুব দ্রুতই মেয়েটিকে উদ্ধার করতে পারবো। অপহরণ বা গুম নয়, তবুও আমরা বলবো এটা অপহরণ, যেহেতু মেয়েটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামলা নিতে গড়িমসি করা হচ্ছে না। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত রুবেলের মা ও বোনকে থানায় আনা হয়েছিল। তাদের সম্পৃক্ততা না থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’ সম্পাদনা – অলক কুমার