বাসাইল সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের বাসাইলে একটি নির্মাণাধীন মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনী।
এই ঘটনার সংবাদ সংগ্রহের সময় বাংলা ট্রিবিউনের জেলা প্রতিনিধি এনায়েত করিম বিজয়ের উপর হামলা করেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনী।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন যাবত কাউলজানী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মন্দিরের একটি জমি নিয়ে গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে চেয়ারম্যানের বিরোধ চলে আসছে।
কয়েকদিন আগে আদালত হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে একটি রায় দেন।
রায়ের প্রেক্ষিতে রবিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে সেখানে মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।
এসময় চেয়ারম্যানের লোকজন বাঁধা দেয় ও নির্মাণাধীণ মন্দিরটি ভাঙচুর করে।
সংবাদ পেয়ে সাংবাদিক বিজয় দ্রুত মোটরসাইকেল যোগে উপস্থিত হয়ে হেলমেট পরিহত অবস্থায় ছবি তুলতে থাকে।
এ সময় চেয়ারম্যানের নির্দেশে মতিন, রফিক ও শামীমসহ ১৫/২০ জন দূর্বৃত্ত বাঁশের লাঠি, কাঠের বাটাম নিয়ে সাংবাদিকের উপর হামলা ও এলোপাথারি পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে।
খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা ও পুলিশ তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত সাংবাদিক বিজয় বলেন, সেখানে পুলিশ থাকলেও তারা আমাকে রক্ষা করতে পারেনি।
পুলিশের উপস্থিতিতেই দূর্বৃত্তরা আমাকে বেদম মেরেছে। হেলমেট পরা থাকায় আমি প্রাণে রক্ষা পাই।
কাউলজানী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান চৌধুরী (হবি) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই সময়ে কিছু লোক তার গায়ে হাত তুলেছে।
এটি একটি ভুল বুঝাবুঝি মাত্র। এজন্য আমি ভীষণ দুঃখিত।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের গণমাধ্যমকর্মীরা। ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামেনে মানববন্ধনের কর্মসূচী ঘোষনা করেন।
ঘটনা প্রেক্ষিতে বাসাইল উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম বলেন, এটি নেক্কারজনক ঘটনা। ঘটনার সাথে জড়িতরা যে দলেরই হোক না কেন, দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে থাকা বাসাইল থানার এসআই বিল্লাল বলেন, সেখানে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
দুইপক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। আমরা মাত্র তিনজন পুলিশ সদস্য বাইরে ছিলাম।
মূহুর্তের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। পরে আমরা জনগণকে ঠেলে ভেতরে গিয়ে তাকে উদ্ধার করি। সম্পাদনা – অলক কুমার