বাসাইল সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার টেংগুরিয়াপাড়া সুফী সাধক খোরশেদ মাস্তানে মাজারে হামলা ও ভাংচুর করেছে স্থানীয় আহলে হাদীস অনুসারীরা।
জানা যায় গত শুক্রবার বাদ জুমা স্থানীয় আহলে হাদীস অনুসারী কাওসার মুন্সী, পিতা-মৃত হানিফ মিয়া, মোমিনুর রহমান পিতা মৃত মতিউর রহমান, আনোয়ার হোসেন পিতা-আহাইলা, সুলতানা পিতা মৃত দরবেশ আলী, রাব্বি হাসান পিতা-কাওসার, রাকিব হাসান উৎস, আরিফ হাসান রুদ্র, সাখাওয়াত হোসেন দ্বীপ ও মুছা মিয়া জুমার নামাজ শেষে তাদের বাহামভূক্ত শতাধিক লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে ২০১৭ সনের জানুয়ারির ৪ তারিখে মৃত আধ্যাত্মিক সাধক বাবা খোরশেদ মাস্তানের মাজারে হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।
হামলাকালে মাজারের সন্নিকটে বসত বাড়ীতেও হামলা চালানো হয় এবং বসত বাড়ীর আসবাবপত্রের ক্ষতি সাধন করা হয় বলে জানিয়েছেন আধ্যাত্মিক সাধকের পুত্র শামীম ও পুত্রবধূ কাকন।
হামলার সময় বাসায় শিশু ও নারীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
পরবর্তীতে ৯৯৯ এ ফোন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চাওয়া হলে এসআই রফিকুল ইসলাম ও বেল্লাল হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিববার সূত্রে জানা গেছে হামলাকারীরা আনুমানিক আট লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধনসহ মাজারের খাদেম ও তাদের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকী দিয়েছে।
মাজারের খাদেম শামীম ও কাকন জানান তারা পুরো পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম ও হাবলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ জানান মাজারে হামলা ও ভাংচুর হয়েছে বলে শুনেছি।
এলাকাটির কিছু অংশ বাসাইল ও কিছু অংশ দেলদুয়ার থানার অন্তর্ভূক্ত।
হামলার বিষয়ে বাসাইল থানায় কোন পক্ষ অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত মাজারের খাদেম শামীম জানান নিরাপত্তাহীনতার কারণে বাসা থেকে বের হতে পারছি না।
আমাদের হীতাকাঙ্খীদের সাথে পরামর্শ করে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হবে।