বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি ৩১ দফা কর্মসূচি প্রবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমূল পরিবর্তন এনেছে। জনগণের সমর্থনে যদি বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায়, তবে রাজনৈতিক ও নৈতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি বারবার ধ্বংসের চেষ্টা সত্ত্বেও ফিনিক্স পাখির মতো জেগেছে, এবং নির্বাসিত হয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বিএনপির প্রায় ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, প্রায় ২০ হাজার হত্যাকাণ্ড এবং ১,৭০০ নেতাকর্মীর গুম সংঘটিত হয়েছিল। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে দল ফ্যাসিবাদ ও অবিশ্বাস্য অত্যাচার থেকে মুক্তি পেয়েছে।
মহাসচিব আরও বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করা এখন দলের মূল চ্যালেঞ্জ।
তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান তুলে ধরে বলেন, তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মৌলিক অধিকার নিশ্চিত ও মুক্ত বাজার অর্থনীতি প্রবর্তন করেছিলেন। এছাড়া তার হাত ধরেই দেশের পোশাক শিল্প ও রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীকালে বেগম খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।
এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ছিলেন সালাহউদ্দিন আহমদ, আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ এবং অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতারা।