বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বল শ্রমবাজারের তথ্য, সুদহার কমানোর সম্ভাবনা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে স্বর্ণে ঝুঁকছেন। ফলে এর চাহিদা ও দাম উভয়ই ঊর্ধ্বমুখী।
গত বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) স্পট গোল্ডের দাম ১.২% বেড়ে প্রতি আউন্সে দাঁড়ায় ৩,৫৭৬.৫৯ ডলার, যা ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৩,৫৭৮.৫০ ডলার ছুঁয়েছে। একই সময়ে, যুক্তরাষ্ট্রের ফিউচার মার্কেটে স্বর্ণের দর দাঁড়িয়েছে ৩,৬৩৫.৫০ ডলারে।
কেন বাড়ছে স্বর্ণের দাম?
যুক্তরাষ্ট্রের জুলাই মাসের শ্রমবাজার প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল পারফরম্যান্স করেছে। চাকরির সুযোগ ও নতুন নিয়োগ কমে যাওয়ায় ফেডারেল রিজার্ভ সেপ্টেম্বরে সুদহার ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমাবে—এমন সম্ভাবনা আরও জোরদার হয়েছে। বর্তমানে এ সম্ভাবনা দাঁড়িয়েছে ৯৮ শতাংশে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বর্ণের পরবর্তী লক্ষ্য হতে পারে আউন্সপ্রতি ৩,৬০০ ডলার, যা মধ্যমেয়াদে ৩,৮০০ এবং আগামী বছর ৪,০০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
রাজনৈতিক চাপ ও বৈশ্বিক প্রভাব
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে সুদহার কমানোর জন্য চাপ দিলেও, ফেডের স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এ কারণে ডলারনির্ভর সম্পদের প্রতি আস্থা কমেছে এবং বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণের দিকে ঝুঁকছেন। ইউরোজোনের অর্থনীতিও ধীরগতিতে প্রসারিত হওয়ায় বুলিয়নে বিনিয়োগ বেড়েছে।
অন্যান্য ধাতুর বাজার
-
স্পট সিলভার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১.৩৪ ডলারে (২০১১ সালের পর সর্বোচ্চ)।
-
প্লাটিনামের দাম ১,৪৩৪.১৭ ডলার।
-
প্যালাডিয়ামের মূল্য ১,১৫৫.০৫ ডলার।
সব মিলিয়ে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, মার্কিন সুদহার কমার সম্ভাবনা এবং নিরাপদ সম্পদের প্রতি আগ্রহ স্বর্ণের বাজারে বড় ধরনের উত্থান ঘটিয়েছে।