ঢাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁন ওরফে সোহাগকে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জেরে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বুধবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
তিনি জানান, সোহাগ সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ভাগ্নে পিল্লুর ছত্রছায়ায় সরকারের আগের মেয়াদে পল্লী বিদ্যুতের চোরাই তারের ব্যবসা করতেন এবং তা অ্যালুমিনিয়ামের ফ্যাক্টরিতে বিক্রি করতেন। তবে গত বছর আগস্টের পর তিনি রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন করেন, আর এ নিয়ে অপর একটি গ্রুপের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এই কোন্দল থেকেই হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বলে জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, গত ৯ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে প্রকাশ্যে সোহাগকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে চকবাজার থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্দেহভাজন দুইজনকে আটক করে। পরে সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনার ভিত্তিতে আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন সোহাগের ওপর পাথর নিক্ষেপকারী রেজওয়ান উদ্দিন অভি, যিনি পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার হন। এ ঘটনায় মোট ৯ জনকে আটক করা হয়েছে এবং অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, হত্যাকাণ্ডের এজাহার নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবারের কয়েকজনের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে প্রাথমিক খসড়া এজাহার বদলে যায়।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘‘এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং এমন জঘন্য অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ, লালবাগ বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ও মিডিয়া বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।