পাবনা জেলা অটো টেম্পো, অটোরিকশা ও ট্যাক্সি মালিক সমিতির ত্রিবার্ষিক নির্বাচন ব্যালট পেপার ও ভোটার তালিকা ছিনতাই এবং আগুন দেওয়ার ঘটনার জেরে স্থগিত করা হয়েছে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে ভোট গণনার এক পর্যায়ে এ সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
সকাল ৯টা থেকে পাবনা সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুল কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। ১,২০২ জন ভোটারের মধ্যে ৮৪৭ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
বিকেল ৫টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। তবে রাত সাড়ে ১০টার দিকে গণনা প্রায় শেষ হওয়ার সময় একদল দুর্বৃত্ত কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে ব্যালট পেপার ও ভোটার তালিকা ছিনিয়ে নেয় এবং বাইরে এনে আগুন লাগিয়ে দেয়। তারা এসময় ভোটকেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভও করে।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী দ্রুত সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন শাহিন নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরপরই শুরু হয় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। সভাপতি পদপ্রার্থী আব্বাস আলী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাফর মহাম্মাদ আল মাসুদ মিন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, “পরাজয় নিশ্চিত জেনে মিন্টু তার সমর্থকদের দিয়ে এ হামলা ঘটিয়েছে।” তবে মিন্টু এ অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, “তিনি বিজয়ী হয়েছেন এবং এই সহিংসতার জন্য সব পক্ষের সমর্থকরাই দায়ী।”
এদিকে নির্বাচনী সহিংসতার প্রভাব পড়ে শনিবার সকাল থেকেই। পাবনার বিভিন্ন স্থানে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচলে বাধা দেয় কিছু প্রার্থীর সমর্থক। এতে যাত্রীরা ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েন।
নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।