ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিএনপি নেতা মফিজুর রহমান মুকুলকে সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার পদ্মপাড়ায় তার নিজ বাড়ির সামনে এই হামলা ঘটে।
মুকুলের সঙ্গে থাকা জেলা বিএনপির সদস্য হযরত আলী কালের কণ্ঠকে জানান, “মুকুল ভাইয়ের অবস্থা ভালো নয়। তার দেহের তিনটি গুলি মূত্রথলি, কিডনি ও লাঞ্চে আঘাত করেছে। সবাই তার জন্য দোয়া করুন।”
নবীনগর থানার ওসি শাহীনূর ইসলাম ও জেলা পুলিশ জানিয়েছেন, হামলাকারীদের দ্রুত ধরা হবে। পুলিশের একাধিক গোয়েন্দা টিম ঘটনাস্থলে কাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) পিয়াস বসাকও ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন।
মুকুল তার নিজ বাড়িতে ফিরে আসার সময় রিকশা থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান চিকিৎসক ডা. হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, “গুলিবিদ্ধ মুকুলের পিঠে দুটি ও পাছায় একটি গুলি লেগেছে। তার অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।”
নবীনগরের রাজনৈতিক নেতারা বলছেন, এটি কোনো ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব নয়, বরং রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ঘটনা। উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মান্নান দ্রুত ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের আহবান জানিয়েছেন।
জেলা বিএনপির নেতা হযরত আলী বলেন, “সবাই মুকুল ভাইয়ের জন্য দোয়া করুন। ঘটনার পর আমাদেরও আতঙ্ক বিরাজ করছে। দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি দাবি করছি।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নবীনগরে একাধিক খুন, ডাকাতি ও চুরির ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি লক্ষ্য করা গেছে। এই ঘটনায় স্থানীয় জনগণ ও রাজনৈতিক মহল উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।











