২০১৪ সালে ভারত বাংলাদেশে গরু রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এরপর দেশের কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে বড় সংকটে পড়েছিল বাজার। তবে এক দশকের ব্যবধানে দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে স্থানীয় খামারিরা।
২০২৫ সালের কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশের ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৫৪৪টি খামারে প্রস্তুত রয়েছে এক কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি পশু। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রাজশাহী বিভাগে (৪৩ লাখ), এরপর চট্টগ্রাম (১৯ লাখ) ও খুলনা (১৪ লাখ)।
চাহিদার তুলনায় এবার বাড়তি থাকবে ২০ লাখ ৬৮ হাজার পশু। ফলে বিদেশ থেকে পশু আমদানির প্রয়োজন পড়ছে না বললেই চলে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এবারের কোরবানিতে গরু, ছাগল ও অন্যান্য পশু বিক্রিতে প্রায় এক লাখ কোটি টাকার অর্থনৈতিক কার্যক্রম হবে। এর মধ্যে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিক্রি হতে পারে ১০ হাজার কোটি টাকার পশু।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে ৫৫ লাখের বেশি কৃত্রিম প্রজনন করা হয়েছে, যার ফলশ্রুতিতে দেশীয় উৎপাদন বেড়েছে।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, “এবার কোরবানিতে দেশীয় পশুই যথেষ্ট হবে। মাঠ পর্যায়ে নিরাপত্তা ও পশু সরবরাহ নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, গবাদি পশুর জাত উন্নয়ন ও কৃত্রিম প্রজননের ক্ষেত্রে এখনো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির আরও বিস্তার দরকার। এতে করে ভবিষ্যতে চাহিদা পূরণের পাশাপাশি খামারিরাও আরও লাভবান হবেন।