ভারতের মহারাষ্ট্রে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি সরানোর দাবিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সহিংসতার পর নাগপুরের বেশ কয়েকটি এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, সোমবার দুপুরে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দল নাগপুরের মহাল এলাকায় আওরঙ্গজেবের কবর সরানোর দাবিতে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভকারীরা আওরঙ্গজেবের একটি ছবি পুড়িয়ে দেয়।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই পুলিশ সূত্রে জানিয়েছে, বিক্ষোভ চলাকালে কোরআন পোড়ানোর গুজব ছড়িয়ে পড়ে, যা মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এই ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করা হয়।
নাগপুর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অর্চিত চন্দক সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানান, একটি ভুল তথ্যের কারণে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। তিনি জনগণকে গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এবং শান্ত থাকার অনুরোধ করেছেন।
সহিংসতায় আহত ৯, আটক ৪৭
সোমবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষে ছয়জন সাধারণ নাগরিক ও তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। পরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে কোতোয়ালি ও গণেশপেঠ এলাকাতেও। হাজারো মানুষ পাথর নিক্ষেপ ও ভাঙচুর চালায়, দোকানপাট ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
রাতভর চিরুনি অভিযানের পর পুলিশ ২০ জনকে আটক করে। মঙ্গলবার সকাল নাগাদ আটককের সংখ্যা বেড়ে ৪৭-এ পৌঁছায় বলে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী যোগেশ কদম জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এলেও কারফিউ বহাল রয়েছে। মহাল এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও শহরের অন্যান্য অংশে জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে বলে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন। নাগরিকদের প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বের হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।