অনলাইন ডেস্ক: আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়ানো ৭৫৫ শিশুর জামিন হয়েছে শিশু আদালতে। ২৩ জুলাই বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫০ কার্যদিবসে ভার্চুয়াল শিশু আদালতে তাদের জামিন হয় বলে রবিবার জানান সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান। ইতিমধ্যে ৭৪৬ শিশুকে তাদের অভিভাবকের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং দেশের তিনটি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে আরও ৮৭০ শিশু রয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ১২ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে নতুন এসেছে ৫০৮ শিশু।
শিশু আইন, ২০১৩ অনুযায়ী আইনের সঙ্গে সংঘাতে বা সংস্পর্শে আসা শিশুদের কারাগারে না পাঠিয়ে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে গাজীপুরের টঙ্গী ও কোনাবাড়ী এবং যশোরে তিনটি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে টঙ্গী ও যশোরের কেন্দ্র দুটি বালক শিশুদের জন্য নির্ধারিত। করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্ট স্পেশাল কমিটি ফর চাইল্ড রাইটস (এসসিএসসিসিআর) গত ৫ এপ্রিল ভিডিও করফারেন্সে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রগুলোতে থাকা শিশুদের জামিনের আবেদন ও মামলার শুনানি ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত নেয়। কমিটির চেয়ারম্যান হলেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী।
গত ৯ মে ‘আদালত কর্র্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ জারি হওয়ার পর উচ্চ আদালতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সীমিত পরিসরে মামলার শুনানি এবং অধস্তন আদালতে একই পদ্ধতিতে শুধু জামিন শুনানি শুরু হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা শিশুদের জামিনের বিষয়ে উদ্যোগ নেয় এসসিএসসিসিআর ও সমাজ সেবা অধিদপ্তর।
সোনালী/এমই