বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) খুঁজে পেয়েছে ‘ভুয়া’ বিশ্ববিদ্যালয়। মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে ‘ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটি’ নামের একটি অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সনদ বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে ওয়েবসাইটে এই ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ইউজিসি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, ওয়েবসাইটে (https://eaub.info/) দেওয়া ভুয়া তথ্য বিশ্বাস করে কোনো ধরনের প্রতারণার শিকার না হতে। মঙ্গলবার ইউজিসির পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ওয়েবসাইটে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান রাজধানীর ইস্ট মেরুল বাড্ডা হওয়ায় এর কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শনের জন্য কমিশন দুই সদস্যের একটি পরিদর্শন টিম গঠন করে। সোমবার সরেজমিন পরিদর্শন শেষে টিমের সদস্যরা ইউজিসি কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। গুগল সার্চ ইঞ্জিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম টাইপ করলে স্ক্রলবারে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর নামসহ লোগো প্রদর্শিত হয়।
কিন্তু ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটি নামেই পেইজটি ওপেন হয়। আরও আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে, ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটির নামের ওপর ক্লিক করলে ইবাইস ইউনিভার্সিটি নামের পেইজটি ওপেন হয়। পরিদর্শন টিম তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, সনদ বাণিজ্যের জন্যই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অননুমোদিত এ প্রতিষ্ঠানটি অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পরিদর্শন টিম তাদের প্রতিবেদনে প্রতারণা বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ডোমাইনটি অতি দ্রুত বন্ধের বিষয়ে বিটিসিএলে পত্র পাঠানোর সুপারিশ করেছে।
এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করার সুপারিশ করা হয়েছে।