টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ভূঞাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোখলেছুর রহমানের নেতৃত্বে রবি মৌসুমে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, শীতকালীন পেঁয়াজ, চিনাবাদাম, মসুর ও খেসারি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মোট ৬,৬৭০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মধ্যে অর্জুনা ৯৯৫ জন, গাবসারা ৮৫৫ জন, ফলদা ১,৪১০ জন, গোবিন্দাসী ৭৭০ জন, অলোয়া ১,০৭০ জন, নিকরাইল ৭২৫ জন এবং পৌরসভায় ৮৪৫ জন কৃষক প্রণোদনা পান। এছাড়া মাসকলাই ২০০ জন, তিল ১,০০০ জন, পাট ৩৫০ জন, রোপা আমন ১,৩৫০ জন, শাকসবজি ৮০ জন এবং বোরো হাইব্রিড ধানের ১,৬০০ জন কৃষকের মাঝে পূর্ববর্তী অর্থ বছরে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে,
শতভাগ প্রকৃত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকই বীজ ও সার পেয়েছেন। অলোয়া ইউনিয়নের চর অলোয়া গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, “প্রণোদনার আওতায় সরিষার বীজ ও সার পেয়ে জমিতে চাষ করেছি, এবার প্রচুর ফলন হয়েছে। এ ধরনের সহযোগিতা আমাদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।”
গোবিন্দাসী ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামের কৃষক কুদ্দুস বলেন, “ভুট্টার বীজ ও সার পেয়ে নিজের জমিতে ভালো ফলন পেয়েছি। কৃষি প্রণোদনা আমাদের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করছে।” ফলদা ইউনিয়নের আঃ আলিম বলেন, “গমের বীজ ও সার পেয়েছি এবং ভালো ফসল পেয়েছি। এ ধরনের উদ্যোগ আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।”
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাসানুর রহমান খান স্বীকার করেছেন, ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে তিনি কিছু ভুয়া তথ্য প্রদান করেছিলেন। তিনি বলেন, “আমার দেওয়া তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা সৎ ও নিষ্ঠাবান।”
উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা নাজমুল হাছান মামুন নিশ্চিত করেছেন, প্রণোদনা কার্যক্রম শতভাগ সঠিকভাবে বিতরণ হয়েছে। একই মন্তব্য করেছেন ফলদা ব্লকের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিজয় কৃষ্ণ ভৌমিক, মাইজবাড়ি ব্লকের রুবেল মিয়া এবং নিকরাইল ব্লকের ফরহাদ হোসাইন।
ভূঞাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোখলেছুর রহমান বলেন, “রবি মৌসুমে প্রণোদনা কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি। কৃষক প্রশিক্ষণ, মাঠ দিবস ও প্রদর্শনী কার্যক্রমও সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কিছু ভুয়া তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, যা ভিত্তিহীন। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”