টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে আম পারাকে কেন্দ্র করে খুন হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মেহেদী মোস্তফা রাজীবের হত্যাকারী জিহাদকে গ্রেপ্তার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।
২৩ জুন (মঙ্গলবার) বিকেলে টাঙ্গাইল সদর এলাকার সন্তোষ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রাজীব হত্যার আসামী জিহাদকে (২৮)। নিহত রাজিব উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের গারাবাড়ী গ্রামের গোলাম মোস্তফা দুলালের ছেলে।
ঘটনার পর থেকেই জিহাদ পলাতক ছিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জিহাদকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ভূঞাপুরে থানা পুলিশ।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টাঙ্গাইলের সন্তোষ থেকে মেহেদী মোস্তফা রাজিবের হত্যাকারী চাচাতো ভাই জিহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত জিহাদ নিহত রাজীবের চাচা মফিজুল হক চন্দনের ছেলে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আগামীকাল বুধবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে। নিহতের বাবা গোলাম মোস্তফা দুলাল বাদী হয়ে তিনজনের নামে মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন (বৃহস্পতিবার) দুপুরে রাজিবের মায়ের সাথে আম পারাকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ড শুরু হয়। একপর্যায়ে জিহাদ ক্ষিপ্ত হয়ে ঘর থেকে ছুরি এনে তার মাকে আঘাত করতে গেলে বাঁধা দেয় রাজীব। এসময় জিহাদকে বাঁধা দেওয়ায় সে রাজীবকে ছুরিকাঘাত করে। ঘটনাস্থলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত রাজিব ২০০৬-২০০৭ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে জহিরুল হক হলের আবাসিক ছাত্র হিসাবে ভর্তি হন। এরপর সে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে রাহাত-সমুন পরিষদের হল শাখার আইন বিষয় সম্পাদক ও পরে রিফাত-জয় পরিষদের হল শাখার সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।