টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অভিযান পরিচালনা করে রোববার রাতে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে যৌথবাহিনী। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে থানা হাজতে রাখা হয়। পরের দিন সোমবার সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ওই মাদক ব্যবসায়ীকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ ৫০০ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু আবদুল্লাহ খান। সারারাত থানা হেফাজতে রেখে সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত মাদক ব্যবসায়ী উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ি গ্রামের সাহেব মন্ডল (৬০)। এসময় তার কাছ থেকে পাঁচ পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, রবিবার রাতে যৌথবাহিনী গোবিন্দাসীর খানুরবাড়ি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক ব্যবসায়ী সাহেব মন্ডলকে আটক করা হয়। পরে ওই রাতে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে আটক সাহেব মন্ডলকে থানা হেফাজতে রাখা হয়। পরের দিন সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় আটক সাহেব মন্ডলকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে তিন মাসের কারাদন্ডসহ পাঁচশত টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনে বলা হয়েছে, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করিবার সময় যদি এইরূপ কোন অপরাধ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট এর সম্মুখে সংঘটিত বা উদ্ঘাটিত হয়, যাহা সেশন আদালত কিংবা অন্য কোন উচ্চতর বা বিশেষ আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক বিচার্য, তাহা হইলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ এজাহার হিসাবে গণ্য করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করিবেন।
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম রেজাউল করিম বলেন, যৌথবাহিনীর অভিযানে ওই মাদকসেবীকে আটক করা হয়েছিল। সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে সাঁজা দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু আবদুল্লাহ খান বলেন, যৌথবাহিনীর অভিযানে তাকে আটক করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য থানার ওসি জানিয়েছিলেন। পরে তাকে রাতে থানা হেফাজতেই রাখা হয়েছিল। সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সাঁজা দেয়া হয়েছে।