হযরত আলী তালুকদারের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল, লাঠি মিছিল, মানববন্ধন সহ অনেক ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও কোন এক অদৃশ্য হাতের আশির্বাদ পুষ্ট হয়ে এখনো বহাল তবিয়তেই রয়েছে সে।
শুধু বহাল তবিয়তে রয়েছ বললে ভুল বলা হবে। এলাকাবাসীর দাবি হযরত চেয়ারম্যান দিনে দিনে আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। আর তারই প্রতিচ্ছবি দেখা যায় ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায়।
জানাগেছে, যমুনা নদী সংলগ্ন গরিলাবাড়ী গ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদার ব্যক্তিগতভাবে একটি শিশুপার্ক প্রতিষ্ঠা করতে স্থানীয়দের বাড়ি-ভিটি জবর দখল করার চেষ্টা করছেন। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হযরত আলী তালুকদার, তার ছেলে ওবায়দুল, শহীদুল, সালাহ উদ্দিন, তার চাচাত ভাই মোমেন তালুকদার, ইব্রাহিম তালুকদার ও ভাতিজা জাহাঙ্গীর তালুকদার সহ ১৫-২০ ব্যক্তি দা, লাঠি, রড, চাইনিজ কুড়াল সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গড়িলাবাড়ী গ্রামের রমজান আলীর বাড়িতে হামলা চালায়। বাঁধা দিতে গেলে তারা রমজান আলী ও তার স্ত্রী নাছিমা বেগমকে বেঁধে রেখে বাড়ির ঘর ভেঙে জবরদখল এবং তাদেরকে পিটিয়ে আহত করে ফেলে রাখে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। https://youtu.be/Qh9w3srZPxE
স্থানীয়রা জানায়, ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদার ফিল্মি স্টাইলে হামলা করে রমজান আলী ও তার স্ত্রীকে মারপিট করে বাড়ির ঘর অন্যত্র ফেলে দিয়ে জায়গা জবরদখল করেছে।
আহত রমজান আলী জানান, তার ৯ শতাংশ বাড়ির জায়গা তারা জবরধখল করে নিয়েছে। দখল করার সময় হযরত আলী তালুকদার তার স্ত্রী নাছিমা বেগমকে বিবস্ত্র করে মারপিট করেছে। তাকে বেধে রেখে লাঠি দিয়ে বেদম পিটিয়েছে।
তিনি আরো জানান, ওই গ্রামের মো. বেল্লাল হোসেনের ১৬ শতাংশ, ইউসুফ আলীর ৪ শতাংশ ও হাকিমদের ১৭ শতাংশ বাড়ির জায়গাও ব্যক্তিগত শিশু পার্কের জন্য ছেড়ে দেয়ার চাপ দিচ্ছে। অন্যথায় ওই জায়গাও জবরদখল করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে মামলা দায়ের করবেন।
এই বিষয়ে গোহালিয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদারের সাথে কথা বলতে তার ০১৭১৩৫৬৩৪১৫ নম্বরে কল করলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। সে সময় ঐ ওয়ার্ডের কাউন্সিলারের সাথে কথা বলতে চাইলে তিন মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করতে আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।