নিজস্ব প্রতিবেদক : মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ ও মাজার জিয়ারত শেষে বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বগণ সাংবাদিকদের মাধ্যমে দেশের জনগণের উদ্দেশ্যে মতামত ব্যক্ত করেন। তারা বলেন –
গণস্বাস্থের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, গণতন্ত্র আজ কবরে শুয়ে আছে, এখন এটাকে মাটি দেয়ার অপেক্ষা।
এটাকে আমাদের বাঁচাতে হলে সকলের সম্মিলিতভাবে আন্দোলন ছাড়া কোন পথ নাই।
আমরা জীবন্ত গনতন্ত্র দেখতে চাই। জবাবদিহিতা দেখতে চাই। মানুষের কথা বলার অধিকার চাই।
সরকার যেভাবে মানুষের কন্ঠরোধ করে রেখেছে সেভাবে দেশ চলতে পারেনা। দেশ ধীরে ধীরে মাফিয়া রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে।
যেকোন দিন দেশ ভারতের সিকিমে পরিনত হয়ে যাবে।
কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেন, মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী একজন ঐতিহাসিক নেতা।
তার এ দেশে জন্ম না হলে আমরা কেউ এ পর্যায়ে আসতে পারতাম না। তিনি না হলে বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা হতো না। বাংলাদেশ হতো না।
সেরকম একজন মহান নেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে তার আত্মার শান্তি কামনা ও দেশের মঙ্গল কামনা করতে এসেছি।
তিনি আরো বলেন, আমার রাজনৈতিক পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রহমান আর বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক পিতা ভাসানী।
দেশে হাহাকার পরিস্থিতিতে আমাদের সকলের জীবন ও তার চরিত্র আরো ভালভাবে অধ্যায়ন করা উচিত।
আমাদের দেশের এই দূর্যোগ থেকে অব্যহতি পেতে হলে আরো সৎ,আরো দৃঢ় আরো ত্যাগী হতে হবে। স্বাধীনতায় যার যার মর্যাদা তা স্বীকার করতে হবে বলেও তিনি মনে করেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু বলেছেন, আজকে ভাসানী বেঁচে থাকলে দেশে ভোটারবিহীন নির্বাচন হতে পারতোনা।
ভাসানীর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে এই স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি জ্বালাও পোড়াও রাজনীতিতে বিশ্বাসী না। বিএনপি জনগনকে সাথে নিয়ে গনতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী।
গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটের মাধ্যমে বিএনপি সরকার পরিবর্তনে বিশ্বাস করে।
এসময় তার সাথে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবীর খোকন, শিমুল বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা – অলক কুমার