মধুপুরে ১৩ হাজার আনারস কেটে ফেলেছে দূর্বত্তরা

মধুপুর প্রতিনিধি : পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রায় ১৩ হাজার আনারস চারা কেটে ধ্বংস করেছে দূবৃত্ত আরশেদ ও তার সহযোগীরা।

এই ঘটনার বিচার চেয়ে গত শনিবার মধুপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মাগুন্তিনগর গ্রামের ফিরোজ মিয়া।

জানা যায়, মধুপুরের বেরীবাইদ ইউনিয়নের মাগুন্তিনগর গ্রামের ফিরোজ মিয়া ৮০ শতাংশ জমিতে দীর্ঘ দিন ধরে আনারস আবাদ করে আসছে।

চলতি মৌসুমের আনারস বিক্রির পর চারা উৎপাদনের জন্য আনারস গাছগুলো পরিচর্যা করা হয়েছে।

বর্তমানে ওই আনারস বাগানের চারাগুলো সতেজ সুন্দর হয়ে উঠেছে। সেই বাগানের চারাসহ আনারসগাছ প্রতিবেশী আরশেদ আলী ও তার সহযোগীরা কেটে ফেলেছে।

এতে প্রায় চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জমির মালিক ফিরোজ মিয়া।

ক্ষতিগ্রস্ত ফিরোজ মিয়া জানান, ৮০ শতাংশ জমিতে প্রায় ১৪ হাজার আনারসের চারা ছিলো। ওই চারাগুলো কিছুদিন পর ফলবতি হয়ে উঠতো; আনারসে ভরে উঠতো পুরো বাগান।

৬ অক্টোবর বুধবার বাগান প্রহরী মধুসুদন বর্মন মোবাইলে জানান, আরশেদ আলী (৩৫), জুরান আলী (৩২), আয়োজ উদ্দিন (৫০)সহ আরো অন্তত ৬/৭জন লোক মিলে বাগানের আনারসের চারা কেটে-তুলে নষ্ট করে ফেলেছে।

দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি কষ্টে সৃজিত আনারস বাগান ফাঁকা করে ফেলেছে। মাঝে মাঝে স্তুপ করে ফেলে রেখেছে আনারসের চারাগুলো।

এ ব্যাপারে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার জন্য কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে; ওই বৈঠকে কোন সমাধান না আসায় শনিবার বিকেলে মধুপুর থানা মামলা দায়ের করি।

অভিযুক্ত আরশেদ আলীর সাথে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।

তবে মাগুন্তিনগর গ্রামের জনপ্রতিনিধি গাজীউর রহমান জানান, আরশেদ আলী ও তার সহযোগীরা অন্যায় করেছে।

আনারস বাগানের চারা নষ্ট করে জমির মালিককে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে; আমি বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার জন্য চেষ্টা করেছি কিন্তু আরশেদ ও তার সহযোগীরা এড়িয়ে গেছেন।

এ ব্যাপারে মধুপুরের অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আনারস চারা কেটে নষ্ট করার অভিযোগ দায়ের করেছেন ফিরোজ মিয়া।

বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার