বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশব্যাপী চলমান মব সংস্কৃতির অবসান ঘটানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের নেতা-কর্মী ও শুভানুধ্যায়ীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, এই মব সংস্কৃতি আইনবহির্ভূত ও হিংসাত্মক, যা জনমনে ভীতি ও আতঙ্ক তৈরি করে। তাই বেআইনি এই কার্যকলাপ যেকোনো উপায়ে বন্ধ করতে হবে।
তারেক রহমান বলেন, ‘দেড় যুগব্যাপী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শহীদদের আত্মদান সার্থক হবে, যদি আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, সুশাসন এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারি। এর মধ্য দিয়ে দেশের মানুষের জীবন আরও নিরাপদ ও উন্নত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা বিএনপির মূল লক্ষ্য। দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত জনগণের ভোটাধিকার ও স্বাধীন মতপ্রকাশ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অবদানের কথাও স্মরণ করে তারেক রহমান বলেন, ‘১৯৯১ সালে নির্বাচিত হয়ে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালনকালে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শক্তিশালী করেছে। বিএনপি বারবার দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।’
তিনি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতেও বিএনপির অবদানের কথা তুলে ধরেন। তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সামাজিক নিরাপত্তা, নারী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প-বাণিজ্য এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেয়। ফলে দেশের অর্থনীতি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়ায় এবং জনগণের আস্থা অক্ষুণ্ণ থাকে।’
তারেক রহমানের এই আহ্বান ও সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়েছে, বিএনপি দেশের গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সবসময় সক্রিয় ভূমিকা রাখবে এবং মব সংস্কৃতি বন্ধের মাধ্যমে নাগরিক নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত করবে।