ময়মনসিংহ নগরীতে অভিনব কায়দায় বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে অবধৈভাবে মোবাইল ফোনের সিম বিক্রির চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করছেে পুলশি। বৃহস্পতিবার (২০ র্মাচ) রাতে নগরীর গোহাইলকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি মডলে থানা পুলশি।
গ্রেপ্তার হলেন ময়মনসিংহের ভালুকার মামারশিপুর এলাকার নাজমুল ইসলামের ছেলে হাফিজুল ইসলাম প্রিন্স (২৯), টাঙ্গাইল মধুপুরের ঝটাবাড়ী এলাকার মিরাজ আলীর ছেলে আজিজুল হক (২৪) এবং টাঙ্গাইলের নাগরপুরের করহাটা এলাকার শরীফ মোল্লার ছেলে তানভীর রহমান কাব্য (২৬)। তারা সবাই ময়মনসিংহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করতেন।
অভিযানকালে তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অবধৈভাবে সিম বিক্রির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এদের ব্যাপারে বিস্তারিত জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে অনুসন্ধানে জানা যায়, একটি চক্র বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে অবৈধভাবে মোবাইল সিম নিবন্ধন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর গোহাইলকান্দি তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রথমে হাফিজুল ইসলাম প্রিন্সকে আটক করা হয়।
পরে তার দেওয়া তথ্যে আজিজুল ও তানভীরের গোহাইলকান্দির বাসা থেকে আরো সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি ল্যাপটপ, আটটি স্মার্টফোন, একটি মোবাইল ট্যাব, চারটি বাটন ফোন, ১৬টি ফিঙ্গার বায়োমেট্রিক স্ক্যানার, দুই বোতল রাবার পরিষ্কার করার কেমিক্যাল, তিনটি ফিঙ্গার হিটার মেশিন, ৩০০টি গ্রামীণফোনের স্কিটো সিম, ২৫০টি গ্রামীণফোন সিমের স্টিকার, ৩০ পিস ফিঙ্গার ছাপযুক্ত নেগেটিভ এবং বিভিন্ন ব্যক্তির বিপুলসংখ্যক জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর উদ্ধার করা হয়।
ওসি শফিকুল ইসলাম খান আরো জানান, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল অপারেটর কম্পানিগুলোর কিছু অসাধু কর্মীর সহায়তায় অবৈধভাবে সিম বিক্রি ও রিপ্লেসমেন্ট কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।