মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বিচারকাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর এই মামলার রায় ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) মামলার যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল। মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্কে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান খান জানান, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার ভূমিকা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এ গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, “এই মামলায় রায় না হলে জুলাইয়ের শহীদ ও আহতদের প্রতি অবিচার হবে।”
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, “প্রমাণাদি ও ফোন কল রেকর্ডের মাধ্যমে অপরাধ সম্পূর্ণভাবে প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো আদালতেও এসব প্রমাণ টিকে থাকবে।” তিনি আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রনিযুক্ত আসামিপক্ষের আইনজীবী আমির হোসেন দাবি করেন, “শেখ হাসিনা পালাননি, বরং তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল।”
মামলায় মোট ৫৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন, যার মধ্যে শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত ব্যক্তি ও চিকিৎসকরা রয়েছেন। তাদের সাক্ষ্যে জুলাইয়ের গণহত্যা, গুম-খুন এবং নির্যাতনের চিত্র উঠে এসেছে।